ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে অস্ত্র ও গুলিসহ জামাতের ৫ ক্যাডার গ্রেপ্তার: আহত ১

moheskhali-jamaat-cadar_1ছবিরক্যাপশন- মহেশখালীর শাপলাপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ জামাতের ৫ ক্যাডার গ্রেপ্তার।

হারুনর রশিদ, মহেশখালী : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মুকবেকী গ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ জামাতের ৫ ক্যাডার গ্রেপ্তার হয়েছে। ২৬জুন রাত সাড়ে ১০টার সময় মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এর নেতৃত্বে এস আই রাজু, এএসআই শহিদুল, এএসআই সনজিদসহ একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা জামাতের আমির জাকের হোসেন এর বাড়ীতে। এসময় পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও ৫জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি কাটা বন্ধুক, ৬ রাউন্ড তাজা কাতুর্জ ও বিভিন্ন সাইজের ৬টি রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুকবেকী এলাকার মৃত এজলাস মিয়ার ছেলে মো: শহীদুল্লাহ(৪০), পশ্চিমপাড়ার মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো: শফিউল আলম(৪০), খুশিয়ারপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদ এর ছেলে আতাউর রহমান(২৬), বুধারপাড়ার মৃত এমদাদুল হকের ছেলে আশরাফ হোছাইন প্র:টিপু(২১), মৌলভী কাটা এলাকার মনজুর আহম্মদ এর ছেলে মোহাম্মদ হানিফ(১৯)।Copy of moheskhali-jamaat-cadar_1স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মনজুর আলম নামের এক ব্যক্তি জানায়- সরকার বিরোধী কার্যকলাপ চালাতে আটককৃতরা ঈদের দিন ; মুকবেকী জামে মসজিদের ঈদ জামাতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় বাহাদুর নামের এক যুবক বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। ক্ষিপ্ত হয়ে আটককৃতরা বাহাদুরের উপর হামলা চালায়। ওই হামলায় বাহাদুর মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হয়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাহাদুর কে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে । বর্তমানে বাহাদুর মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খবর পেয়ে ওই এলাকায় মহেশখালী থানার একদল পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা গাঢাকা দেয় পাহাড়ের দিকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার সময় জামাতের আমির জাকের হোসেন এর বাড়ীতে সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীরা অস্ত্রসহ অবস্থান করছে;এমন গোপন  খবর পেয়ে  ওই বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে জামাত ক্যাডার দের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ,নাশকতা সহ বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে ।

এব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান-গ্রেপ্তারকৃতরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে এবং তাদের গড ফাদারদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের চিরুণী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

‘মহেশখালীতে অস্ত্রসহ জামায়াত ক্যাডার গ্রেফতার’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

3ee555f3ef9b9e18ac3e2b8f98c7c62d-jamate-Islami_2.jpg

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মহেশখালী উপজেলা শাপলাপুর মুকবেকী এলাকায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত বাকবিতন্ডাকে জামায়াতে ইসলামীর উপর দায় চাপিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটককৃত নিরীহ জনসাধারণের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা প্রচার সেক্রেটারি আবু বকর ছিদ্দিক। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঈদ জামায়াতে দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা সংগঠিত হলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ঈদগাঁহ মাঠেই তাৎক্ষণিক মিমাংসা হয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে সরকারদলীয় লোকজন নিরীহ জনসাধারণকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে ভয়ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে। এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরীহ জনগণ ঈদ উদ্যাপন শেষে যখন রাত্রিবেলায় নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন তখন সরকারদলীয় লোকজন পুলিশসহ নিরীহ জনসাধারণের বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবতীতে জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন কারার হীন উদ্দেশ্যে পুলিশ কর্তৃক সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির করে গ্রেফতার দেখায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের এহেন পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরিবেশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ করছি।

 

পাঠকের মতামত: