ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মসজিদে জমি দান হিন্দু যুবকের

অনলাইন ডেস্ক :::

ভারতের কলকাতার বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট মহকুমার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নাম ‘গোতিষ্ঠা’। ১২০টি মুসলিম পরিবারের বসবাস গ্রামটিতে। সেখানে বহু পুরনো একটি কবরস্থান রয়েছে। কিন্তু পাশ দিয়ে বয়ে চলা একটি নদীর স্রোতের কারণে প্রতিদিনই একটু একটু করে কবরস্থানের জায়গা ভেঙে যাচ্ছিল। সেকারণেই কবরস্থানের জায়গা নিয়ে স্থানীয় গ্রামের মুসলিম পরিবারগুলো মধ্যে চিন্তা বাড়ছিল।

এখন সেই চিন্তা মুক্ত হলেন তারা। তাদের সমস্যার সমাধান করলেন গ্রামের প্রয়াত এক বাসিন্দার দুই ছেলে সুদীপ ও সুনীল চক্রবর্তী। কবরস্থানের জন্য তাদের দুই ভাইয়ের পৈত্রিক জমি দান করলেন মসজিদ কমিটিকে। ওই কমিটিই গোতিষ্ঠা কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।

গ্রামের বাসিন্দরা জানাান, বহু বছর ধরে গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। ঈদ বা পুজোকে তারা সামাজিক উৎসব হিসাবে পালন করে আসছেন যুগযুগ ধরে। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে পেড়েক পুঁতে গিয়েছিলেন একই গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক ‘চক্রবর্তী পরিবার’। ওই পরিবারের সন্তান ছিলেন রমেশ চক্রবর্তী। ডাক্তারি পাশ করেও শহরে না গিয়ে বরং গ্রামের মানুষের সেবা করতেন তিনি, বিনামূল্যে দিতেন ওষুধও। তারই দুই ছেলে সুদীপ এবং সুনীল চক্রবর্তী।

সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের কানে আসছিল কবরস্থানে জায়গা সংকটের জন্য নাকি কবর দেওয়া যাচ্ছিল না গ্রামের মুসলিমদের। ওই কবরস্থানের পাশেই আমাদের একবিঘা জমি রয়েছে। তাই ঠিক করলাম, ওই জমিটা আমরা কবরস্থানকে দিয়ে দেবো।

মসজিদ কমিটির সদস্য পিয়ার শেখ বললেন, আমরা অবাক হলাম। ওই জমিটি আমরা কেনার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু চক্রবর্তী পরিবার কবরস্থানের জন্য আমাদের জমিটি দানই করলেন।

গত বুধবার নতুনহাট সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে ওই জমির দানপত্র তৈরি করা হয় বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: