অনলাইন ডেস্ক :: ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুল রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আরমান হোসেন ও সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিস উদ্দিনসহ ৩৬ পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২৫-৩০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক মোহাম্মদ আলী হায়দার কামালের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নাম্বার এমপি ৪০৫/২২।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাছেত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৩১ জুলাই বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আবদুর রহিম নিহত হন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয় দাবি করে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দাখিল করেন। ওই মামলায় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই পুলিশ সদস্য।
তিনি আরও জানান, তারা সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্ত করার দাবি জানান। বিচারক তাদের আরজি শুনে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও লাশের সুরতহাল রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদালতে দাখিলের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ করে ভোলা জেলা বিএনপি। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন। এ ঘটনায় বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমও ছিলেন। গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।
পাঠকের মতামত: