পেকুয়া প্রতিনিধি ::
‘ভূল’ ব্যালটে ভোট গ্রহণের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পেকুয়ার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজনীন ফারজানা। গতকাল পেকুয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাঁস প্রতিক নিয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। অত্যন্ত দু:খের বিষয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছাপানো কিছু ব্যালট পেপারে আমার নির্ধারিত প্রতিক ‘হাঁস’ নেই। এই ভুল ব্যালটে গত রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
নাজনীন ফারজানা বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছাপানো ব্যালট পেপারে দেখা গেছে একটি বান্ডিলে ১০০ ব্যালটের মধ্যে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি ব্যালট পেপারে আমার নাম বা আমার প্রতিক নেই। আমার প্রতীকের পরিবর্তে ‘কলস’ প্রতীক দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এ ব্যালট পেপারগুলো চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার। সেখানে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকের পাশে প্রার্থীর নাম রয়েছে শামীম আরা বেগম, ফুটবল প্রতিকের পাশে সাহিদা আক্তার ও কলস প্রতিকের পাশে সূপর্না ভঞ্জের। অথচ পেকুয়া উপজেলায় ‘কলস’ প্রতিকের কোনো প্রার্থী নেই। আবার আমার নাম ও আমার হাঁস প্রতিকটির ব্যালটে নেই।
নাজনীন ফারজানা লাভলী বলেন, ভোটের দিন সকাল নয়টার দিকে মটকাভাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভুল ব্যালট পেপারের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তাঁরা সরেজমিনে সত্যতা পেয়েও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপর ৪০টি ভোটকেন্দ্রের প্রত্যেকটির ভোটাররা অভিযোগ করেন, তারা যে ব্যালটে ভোট দিয়েছেন সে ব্যালটে ‘হাঁস’ প্রতীকটি ছিলনা। এভাবে আমার অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেন নি। আমি এ উপজেলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুন:নির্বাচন দাবি করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনের সময় নাজনীন ফারজানার সাথে তার নির্বাচনী চীফ এজেন্ট মামুন উদ্দিন, নির্বাচনী এজেন্ট জসিম উদ্দিন, মো: রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: