ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর ১০ বধ্যভূমি ভুমিদস্যুদের দখলে

COX,S BAZAR MOHESH KHALI BODDOVOME  PIC-14,08,2016আবদুর রাজ্জাক,কক্সবাজার-১৪ আগষ্ট :::

কক্সবাজারের মহেশখালীতে চিহিৃত বধ্যভুমিগুলো সংরক্ষন ও সংস্করন করে স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার দেওয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা না করে কাগজে কলমে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন দেখিয়ে বধ্যভুমিগুলোতে শুধু মাত্র একটি করে লাল পতাকা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করায় এসব বধ্যভুমিগুলো পুনরায় ভুমিদস্যু চক্রের দখলে চলে গেছে। ভুমি দস্যুরা এসব বধ্যভুমিগুলিতে ঠিক আগের মত দোকান ঘর নির্মাণ করে সেখানে পাইকারী ও খুচরা মালের আড়ত বসিয়ে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। অথচ উক্ত বধ্যভূমিতে শায়িত আছে ৭১ সালে রাজাকার আলবদরের সহায়তায় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে র্নিমম ভাবে খুন হয়ে শাহাদাতবরণকারী ৮৮ জন মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা। যারা ৩০ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতকে রক্ষা করতে দেশের জন্য যুদ্ধ করে নিজেদের জীবণ বির্সজন দিলেন অথচ আজ তাদের এই আতœত্যাগকে সম্মান না করে তাদের কবরের উপর বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানঘর নির্মাণ করে ভুমিদস্যুরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করায় সচেতন মহলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ।

সূত্রে জানা যায়,বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মহেশখালীতে বধ্য ভূমির সনাক্তকরন করতে চাইলে কতিপয় জাতীয় শক্রর মদদ পুষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ও তৎকালীন শাসক দলীয় লোক জনের বাধার মুখে মহেশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বধ্যভুমি থেকেও কোন ধরণের বধ্যভূমি নেই বলে রির্পোট দিয়েছিল তৎকালিন জোট সরকারকে। অথচ সেই মহেশখালীতে একে একে বেরিয়ে এসেছে ১০’টি বধ্যভূমি ও ৮৮ জন মুক্তিকামী বীর শহিদের তালিকা। এগুলো এতদিন অন্দ্বকারে নিমজ্জিত ছিল। অবশেষে র্দীঘ ৪২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের নিদের্শে কক্সবাজারের উপকুলীয় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্দোগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহায়তায় গত ২০০২ সালের ২৬ শে জুলাই থেকে ২৯শে জুলাই পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় বিরতিহীন ভাবে একটানা অনুসন্ধান চালিয়ে ১০টি বধ্যভূমি ও ৮৮ জন বীর শহীদের কবর সনাক্ত করেন। বধ্যভুমিগুলো হল-(১)বড়মহেশখালী ইউনিয়নের দেবেঙ্গা পাড়া কবরস্থান সংলগ্ন বধ্যভুমি(২) দেবেঙ্গা পাড়া শশ্নান সংলগ্ন বধ্যভুমি(৩) মুন্সির ড়েইল কবরস্থান সংলগ্ন বধ্যভুমি(৪)হোয়ানক পুইছড়ি বধ্যভুমি(৫)কালারমার বাজার সংলগ্ন বধ্যভুমি(৬) ঠাকুরতলা আধিনাথ পাহাড় সংলগ্ন বধ্যভুমি(৭)গোরকঘাটা মাছ বাজার সংলগ্ন বধ্যভুমি(৮)দঃ হিন্দু পাড়া মাতব্বর বাড়ী শশ্নান সংলগ্ন বধ্যভুমি(৯)পৌরসভাস্থ পাল পাড়া সংলগ্ন বধ্যভুমি (১০)কায়স্থ পাড়া শশ্নান সংলগ্ন বধ্যভুমি। বর্তমানে বধ্যভুমিগুলোর অধিকাংশই ভুমিদস্যু চক্রের দখলে।

এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধে নিহতদের আতœীয় স্বজন ও উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা চিহিৃত ১০ টি বধ্যভুমির ৮৮ টি বীর শহীদদের কবরকে সংস্করন পূর্বক স্থায়ী ভাবে সীমানা পিলার দিয়ে সংরক্ষন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের নিকট জোর আবেদন জানান।

পাঠকের মতামত: