ঢাকা,মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

ভাসমান দোকানের দখলে ঈদগাঁও বাজার

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::   সবখানে ভাসমান ব্যবসা আর ঝুপড়ী দোকানে ভরে গেছে। নেই উচ্ছেদ অভিযান। যানবাহন ও সাধারন লোকজন চলাফেরায় নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। এসবের দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পথচারীরা। এমন চিত্র চোখে পড়ে আলোচিত বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার ও বাসষ্টেশন এলাকায়।
সদরের ঈদগাঁও বাজারে বর্তমানে ভাসমান এবং ফুটপাত ব্যবসায়ীদের রামরাজত্ব চলছে। নির্দিষ্ট বাজারের বাহিরে ডিসি সড়কসহ একাধিক স্থানে ব্যস্তবহুল পয়েন্টে সকাল/সন্ধ্যা ভাসমান বাজারে পরিনত করে তুলে। তহসিল অফিস থেকে পুরাতন পুলিশ বিট পর্যন্ত সকাল থেকে রাত অবধি পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপাতের কারনে জন ও যানচলাচল অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু কি ফুটপাত নাকি ফুটপাতের সাথে রাস্তার ও একটা বিশাল অংশ গায়েব হয়ে যায় তরকারী,কাপড়,জুতা,শুকনামাছ হরেক রকম জিনিসপত্রের সাজানো ভাসমান ঢালা-ভ্যানে।
আবার কিছু কিছু ব্যবসায়ী অতি লোভের মোহে পড়ে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে উপভাড়া সরুপ ঝুপড়ী দোকানসহ অন্যন্য ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়ে ফায়দা লুটে  যাচ্ছে। সচেতন মহলের মতে,রাস্তার পাশের দোকানী ফুটপাত জুড়ে মালামাল রাখেন। যাতে করে,চলাফেরায় চরম ভাবে ব্যাঘাত ঘটে।বাজারে এসবের বিরুদ্বে উচ্ছেদ কার্যক্রম এখন সময়ের গনদাবীতে পরিনত হয়ে পড়ে। ঈদগড় রোড়ের মাথা থেকে বিপরীত পাশ মহাসড়কের ব্রীজ পর্যন্ত ফুটপাতে মাছ,মাংস,তরকারীর বাজার এবং ঈদগাহ কেজি স্কুলের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভাসমান হকার ভ্যান বাজার বসে। ব্যবসায়ীদের মতে,ঈদগাঁও বাজারে যত্রতত্র স্থানে এসব ফুটপাত জনস্বার্থে দখলমুক্ত করা জরুরী। বাজারের শাপলা চত্বরে ভ্যানে সাজানো বাজার বসে। আবার টিএন্ডটি অফিস সড়কও পুলিশ ক্যাম্পের পাশেও রয়েছে বাজার,আছে চাউল বাজার সড়কের মোড়েও। এভাবে যে যার মতো করে ইচ্ছে মাফিক যত্রতত্র স্থানে ব্যবসা বানিজ্য করে যেতে দেখা যায়। কতৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা। পাশাপাশি বাজার কর্তৃপক্ষ হারাচ্ছে রাজস্ব। ডিসি সড়কে প্রতিদিন বাড়ছে অসহনীয় যানজট। ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের শৃংখলার স্বার্থে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ভাসমান হকার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার জন্য জরুরী হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল হক মেম্বার জানান,বাজার কমিটির অধিকাংশ সদস্যরা মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকার কারনে উপরোক্ত বিষয়ে সিদান্ত নিতে পারছেনা বলে জানান এ প্রতিবেদককে।
চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনের দুপাশে যেখানে সেখানে ভাসমান ও ঝুপড়ী দোকানে ছেয়ে গেছে। নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র স্থানে হকার ব্যবসা চলছে হরদম।
ঈদগাঁও বাসষ্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, মহা সড়কের দুপাশের অবৈধ পাকিং,ফুটপাতের বিরুদ্বে অভিযানের দাবী। তবেই সাধারন মানুষ শান্তিতে চলাফেরা করতে পারবে।

পাঠকের মতামত: