ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ভাল নেই পেকুয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলের বসবাসকারীরা!

মোঃ ফারুক, পেকুয়া :: বৃদ্ধা রহিমা বেগম। স্বামী হারা এ বৃদ্ধা মহিলা বিগত ১০ বছর ধরে ছোট একটি গৃহে গহীণ পাহাড়ে বসবাস করছেন। বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় রোপিত কাঠাল ও আম গাছের ফল বিক্রি করেই চলে সংসারের সমস্ত খরচ।

বৃদ্ধার মত নুরুল ফকিরের স্ত্রী রুজি আক্তার ও জালাল আহমদের ছেলে মাহামুদুল করিম অসহায় অবস্থায় পাহাড়ে বসবাস করছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।

ঠিক তাদের মত কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী, টৈটং ও বারবাকিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে ১০হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করছেন সীমাহীন কষ্টে।

শিলখালীর গহীণ পাহাড় সেগুন বাগিছা এলাকায় গতকাল সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

মৌসুম অনুযায়ী ফল বিক্রি করে সংসার চলছেও বাকিটা সময় পাহাড়ে লাকড়ি কুড়িয়ে যা আয় তা দিয়ে চলে সংসারের হাল অবস্থা। নাই পর্যাপ্ত টিউবেল ও সড়ক যোগাযোগ। বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা ব্যবস্থাও নাই। অনেক কষ্টে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের।  তাছাড়াও মাঝে মধ্যে বনের হাতি এসে বেশ বাগড়া দেন বসতভিটায়। আবার মাঝে মধ্যে বনবিভাগের লোকজন এসে নানা অযুহাতে হাতিয়ে নেয় সঞ্চয় করা টাকা।

তারা আরো জানিয়েছেন, পাহাড় কেটে নিধন ও পাহাড়ের গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে  ভারি বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে কোন সময় ভয়াবহ পাহাড় ধস এবং ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও উপায় না পেয়ে পাহাড়ে বসবাস করছেন। তাদের দাবী যেহেতু তারা পাহাড়ে বসবাস করছেন জনপ্রতিনিধিরা যেন তাদের প্রতি নজর দেন।

পাঠকের মতামত: