প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকে ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সফরটা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সম্পূর্ণ তৃপ্তি আছে। তৃপ্তিতে কোন সন্দেহ নেই। যে কোন কাজ আমি করি, তা ভেবেচিন্তে করি, সিদ্ধান্ত নেই। হতাশ হবার কিছু নেই। হতাশ হবার মতো কোন কিছু ঘটেনি।
তিনি বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে ভারতের তুলনায় আমরা হয়তো ছোট, জনসংখ্যায় কম। কিন্তু সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে আমরা সমান। তৃপ্তির বিষয়টা হচ্ছে, এ সফরে ভারত যে সম্মান দিয়েছে, এই প্রাপ্তিটা বাংলাদেশের জনগণের। তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য ছিলো আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলা, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গড়ে তোলা। আমরা যেমন নিজেদের উন্নত করতে চাই, তেমনি প্রতিবেশী দেশের উন্নয়ন চাই। তা না হলে টেকসই উন্নয়ন হবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর সম্পর্কে আজ গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে আমার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা-বিশ্বস্ততা-বন্ধুত্বের বহুমুখী সম্পর্ক এই সফরের মাধ্যমে আরও সুসংহত হয়েছে।
‘আমার এই সফরের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে ’উল্লেখ করে তিনি বলেন, সফরের সময় আমি আরও উল্লেখ করেছি যে, বাংলাদেশ সরকার বাস্তবঘনিষ্ঠ উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চায়, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। আমি নিশ্চিত দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে, এ অঞ্চলের মানুষের জীবন আমরা বদলে দিতে পারব। সফরকালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
‘বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এবং বর্তমানে তা এক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে’ উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত ৭ থেকে ১০ই এপ্রিল আমি ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করি। বর্তমান মেয়াদে ভারতে এটিই ছিল আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও পানিসম্পদ মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উচ্চ পর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সফরসঙ্গী ছিলেন। ভারতে অবস্থানকালে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করি।
প্রধানমন্ত্রী সফরের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ৭ এপ্রিল আমি নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে পৌঁছালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে স্বাগত জানান। একইদিন বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীমতি সুষমা স্বরাজ এবং ৯ই এপ্রিল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ৮ই এপ্রিল সন্ধ্যায় আমি ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জনাব হামিদ আনসারীর সঙ্গে এবং ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বৈঠক করি। ভারতের রাষ্ট্রপতি আমাদের সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আমার দেখামতে বর্তমানে সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি তাঁকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ভারতের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে আমি অংশগ্রহণ করি।
তিনি বলেন, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ৮ এপ্রিল সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে আনুষ্ঠানিক সম্বর্ধনা প্রদান করেন। এরপর আমি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। একইদিন আমি হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করি এবং পরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হই। দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পদ্মা ব্যারেজ নির্মাণ, নদীর অববাহিকা-ভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, আন্তঃযোগাযোগ তথা কানেকটিভিটি, জনযোগাযোগ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আমরা নিজ নিজ দেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে একমত পোষণ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনাকালে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে ২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে গৃহীত হওয়ার কথা জানাই। প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে আমাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই সফরে গতানুগতিক চলমান সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন নতুন ক্ষেত্রসমূহ- যেমন বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ভূ-ত্বাত্তিক জরিপ, প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা, ভারতীয় অনুদানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ত্রিদেশীয় অংশগ্রহণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণের ঘোষণা প্রদান করে। এ অর্থ দিয়ে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও সামরিক খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার নমনীয় ঋণ প্রদান করবে ভারত। আমরা যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’- এর হিন্দী সংস্করণের মোড়কও উন্মোচন করেছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আমাদের দুই সরকারের আমলেই সম্ভব হবে বলে জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মোট ৩৫টি দলিল স্বাক্ষরিত হয়। এগুলোর মধ্যে ১১টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক ২৪টি। বাংলাদেশ এবং ভারতের সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৯ বিলিয়ন ডলারের ১৩টি চুক্তি এবং এম.ও.ইউ এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভারতের গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ দিল্লীস্থ ‘পার্ক স্ট্রীট’-এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রোড’।
প্রধানমন্ত্রী সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে উদ্বোধন করা বিভিন্ন সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রিবাহী রেল ও বাস চলাচল এবং বিরল (দিনাজপুর)- রাধিকাপুর (ভারত) রুটে পণ্যবাহী রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছি।
তিনি বলেন, একইদিন বিকেলে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী/ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ প্রদানের উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লির ‘মানেকশ সেন্টারে’ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে এক স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কর্মকর্তা, বর্তমানে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৯০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমি ১৯৭১ সালে শহীদ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাতজন সদস্যের নিকটাত্মীয়ের হাতে সাইটেশন এবং সম্মাননা পদক তুলে দেই। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাদানকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী/সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন শহিদ সদস্যকে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ প্রদানের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন,বক্তব্য প্রদানকালে তিনি ১৯৭৫ সালে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৬ জন সদস্যের কথা স্মরণ করেন। পরিবারের সদস্যদের হারিয়েও জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার উদ্দেশ্যে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার জন্য তিনি আমার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা প্রদানের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর সরকার প্রতি বছরে ১০০ জন করে মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা খরচে চিকিৎসা প্রদান করবে। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বৃত্তির সংখ্যা আরও ১০ হাজার বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
শেখ হাসিনা এ সম্পর্কে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান নেতা হিসেবে পরিচিত। ৮ই এপ্রিল ভারত-বাংলাদেশ ৬২-দফা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি/ইশতেহার প্রকাশ করে, যাতে দু’দেশের চলমান সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী সফর সম্পর্কে আরও বলেন, ৯ই এপ্রিল আমি আজমীর শরীফে হযরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশ্তী (র:) এর মাজার শরীফ জিয়ারত করি এবং আমাদের দেশ ও জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। সফরের শেষদিনে ১০ই এপ্রিল আমি ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এল. কে. আদভানী, ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমানা চুক্তি সর্বসম্মতিক্রমে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভাতে পাস হওয়ায় আমি বিজেপিসহ সকল রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানাই। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি বাংলাদেশ যে সার্বভৌম দেশ, তা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করি এবং একইসাথে বাংলাদেশ যে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত, তা উল্লেখ করি। আমি আরও বলি যে, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং বিবাদের মাধ্যমে কোন কিছু অর্জন সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করি। এই অনুষ্ঠানের পর, আমি বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বিজনেস ফোরামে যোগদান করি। ফোরামে বাংলাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের চিত্র তুলে ধরি এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানাই। বাসস
পাঠকের মতামত: