ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের কারাগারে সাড়ে তিন মাস সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন চকরিয়া-মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৫৭ মাঝি-মাল্লা

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

ভারতের কারাগারে ৩মাস ১৯দিন সাজাভোগের পর অবশেষে দেশে ফিরলেন গভীর সাগরে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ মাছ আহরণে গিয়ে পথ ভুলে ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার তেপান্ন জনসহ ৫৭ মাঝি-মাল্লা। গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবির কাছে দুইটি ট্রলারসহ তাদেরকে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাঁদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর সেখান থেকে দুপুরে তাঁদেরকে স্বজনদের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।

চকরিয়া উপজেলার ট্রলার এফ.বি সাঈদ হোসেনের মালিক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, দুইটি ট্রলার নিয়ে গতবছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৮জন, মহেশখালী উপজেলার ১১জন, কুতুবদিয়া উপজেলার ৩৪জন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর তিনজন ও নোয়াখালী সদরের একজন জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। তিনি বলেন, ওইসময় ঘন কুয়াশার কারণে পথ ভুলে ট্রলার দুইটি ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। ফলে ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার দুইটি জব্দ ও ৫৭ জেলেকে আটক করে কলকাতার প্যাজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় সোর্পদ করেন। এরপর ১০ নভেম্বর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমলী আদালতের বিচারক ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁদের তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেন।

ট্রলার মালিক সেলিম উদ্দিন বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারী এসব মাঝি-মাল্লার সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেখানে যথাসময়ে না পৌঁছার কারনে আরো ১৯ দিন বেশি সাজা ভোগ করতে হয়েছে তাদেরকে। তারপরও গতকাল ( পহেলা র্মাচ) মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবির কাছে ৫৭ জেলেকে দুইটি ট্রলারসহ হস্তান্তর করেন।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের সিনিয়ন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল চকরিয়া) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, দেশে ফেরত আসা ৫৭ মাঝি-মাল্লার মধ্যে ৫৩ জনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায়। অন্য চারজনের মধ্যে একজন নোয়াখালী সদর ও তিনজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। #

পাঠকের মতামত: