নিজস্ব প্রতিবেদক :: হত্যা তালিকায় যুক্ত হলো আরো একটি হাতি। এবারো কৃষকের পাতানো বিদ্যুতের ফাঁদে মারা গেলো ২৫ বছর বয়সী একটি হাতি। হত্যা করার পর মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিলো হাতিটিকে। তিনদিন পর বাঁশখালীর সাধনপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গতকাল হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। হাতিটি হত্যার পর কখন মাটিচাপা দেয়া হয়েছে তা জানে না বন বিভাগ। এ নিয়ে গত একমাসে (নভেম্বর) হত্যা করা হলো পাঁচটি হাতি। এরমধ্যে চারটি হাতি বিদ্যুতের শক ও একটি হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বাঁশখালীর কালিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, হাতিটি কখন মারা গেছে তা আমরা জানি না। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা দেয়া হাতিটি উদ্ধার করি।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, আমরা হাতিটির ময়নাতদন্ত করেছি। শুড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শুড় দিয়ে সবকিছুই টেনে নেয়া হাতির স্বভাব। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের তার শুড় দিয়ে টানতে গিয়ে হাতিটি মারা গেছে। আনুমানিক ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী পুরুষ হাতিটি বিদ্যুতের শকে মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনদিন আগে হাতিটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে আরো চারটি হাতি হত্যা করা হয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগ ও কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগে। বিদ্যুতের ফাঁদ থেকে রেহাই পচ্ছেনা বাচ্চা হাতিও।
গত ২১ নভেম্বর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া সাতঘরিয়া পাড়ায় পুকুর থেকে একটি মৃত বাচ্চা হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি পুকুরে হাতির বাচ্চাটি কখন পড়েছে তা জানে না কেউ। হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন কক্সবাজার সদর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন।
তিনি বলেন, আনুমানিক ৭ বছর বয়সী বাচ্চা হাতিটি বিদ্যুতের শকে মারা গেছে। হাতিটির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি বন বিভাগকে জানিয়েছি।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের চকরিয়া উপজেলার হারবাং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ১৫ বছর বয়সী একটি পুরুষ হাতি, গত ৬ নভেম্বর সাতকানিয়ার মাদার্শা রেঞ্জের সোনাকানিয়ার সাইরতলীতে একটি হাতি বিদ্যুতের ফাঁদে হত্যা করা হয়। গত ৯ নভেম্বর কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জের হাইছার ঘোনায় ১৫ বছর বয়সী একটি স্ত্রী হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পাঠকের মতামত: