বিশেষ প্রতিবেদক :
চকরিয়া থানার বাইরে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসিদের ভাংচুর ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনায় থানার ভেতরেই আটকা পড়েছেন বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাথে দেখা করতে যাওয়ার পর থানা কম্পাউন্ডের বাইরে সন্ত্রাসিরা ভাংচুর চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। বিএনপি অভিযোগ করছে, ওই সময় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মীকে মারধর করা হয়। পরে থানা রাস্তায় মাথায় উপজেলা শ্রমিক দলের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমদ চকরিয়া থানায় যান। চকরিয়া পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের লামার চিরিঙ্গায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসিদের হামলায় সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ অন্তত ৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ওই ঘটনার বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলতেই কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে এডভোকেট হাসিনা আহমদ চকরিয়া থানায় যান।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানান, বিএনপির ‘ধানের শীষে’র প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ থানায় ঢোকার কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসি থানার সামনে এসে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে।
সূত্র মতে, এই ঘটনা শুরু হতেই পুলিশ থানার নিরাপত্তার স্বার্থে থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। পুলিশ থানার ফটক বন্ধ করার পর হামলাকারিরা ফটকের বাইরে থাকা নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় বিএনপি নেতা রফিকসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি, হামলাকারি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা থানার সামনে মহড়া দিতে থাকে। ওই সময় বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমদ থানার ভেতর আটকা পড়েন। এই প্রতিবেদন তৈরিকালীন সময়েও (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) হাসিনা আহমদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তরেই ছিলেন।
এদিকে থানার থামনে থেকে হামলাকারিরা প্রধান সড়কে গিয়ে অন্তত দুইটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং থানা রাস্তার মুখে উপজেলা শ্রমিকদলের কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়।
চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এসএ জয়নাল আবেদীন জানান, হামলাকারিরা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমের সমর্থক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।
তিনি জানান, হামলাকারিরা থানা রাস্তার মুখে উপজেলা শ্রমিক দলের কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা কার্যালয়ের সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন জানান, এডভোকেট হাসিনা আহমদ থানাতেই আছেন। তিনি নিরাপদেই আছেন। তবে হামলাকারিদের ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি
পাঠকের মতামত: