দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক তারা দুজন। সম্ভবত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় দুটি নামও। জয়ের নায়ক হওয়া তাই প্রত্যাশিতই। তবে খানিকটা চমক হয়ে এল দুজনের ভূমিকা। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বল হাতে দলকে জেতালেন মুমিনুল হক ও নাসির হেসেন।
অনুমিতভাবেই বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি হংকং। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ।
৩টি করে উইকেট নেন নাসির ও মুমিনুল। হংকংকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই রান তাড়ায় জিততে লেগেছে মাত্র ১৬.১ ওভার।
দুই ওপেনারকে শুরুতে হারালেও হংকং এগিয়ে যাচ্ছিলো বেশ ভালোভাবেই। ২০ ওভারে ৮০ তুলে ফেলে ২ উইকেট হারিয়েই। এরপরই পথ হারায় তারা বাংলাদেশের ত্রিমুখী স্পিন আক্রমণে।
নিজাকাত খানকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন রাহাতুল ফেরদৌস। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা বাবর হায়াত মুমিনুলের শিকার। ৪৫ রানের মধ্যে হংকং হারায় শেষ ৮ উইকেট।
মাত্র ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন অধিনায়ক মুমিনুল। ১০ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনটি নাসির। বাঁহাতি স্পিনার রাহাতুল নিয়েছেন দুটি।
ছোট রান তাড়ায় বাংলাদেশ শুরু থেকেই খেলেছে চালিয়ে। প্রস্তুতি ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করা আজমির আহমেদ ফিরেছেন ১৫ রানে। তিনে নেমে ১৪ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন মুমিনুল। জিততে তবু সময় বেশি লাগেনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান অপরাজিত থেকে যান ৪৭ বলে ৫৭ রানে। ২৩ বলে ২৪ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
হংকং: ৩৫.১ ওভারে ১২৫ (কার্টার ১৫, র্যাথ ৭, হায়াত ৩৭, নিজাকাত ২৭, ওয়াকাস ৪, ওয়াসিফ ২, বরকত ২, এহসান ১৭, সুব্রামনিয়াম ২, নওয়াজ ০, তানভির ০*; আবুল হাসান ১/২৯, সাইফউদ্দিন ০/১৬, নাসুম ০/২১, রাহাতুল ২/২৬, নাসির ৩/১৮ মুমিনুল ৩/১১)।
বাংলাদেশ: ১৬.১ ওভারে ১২৬/২ (সাইফ ৫৭*, আজমির ১৫, মুমিনুল ২১, শান্ত ২৪*; তানভির ০/১৭, নওয়াজ ০/২৩, এহসান ২/৪৮, সুব্রামনিয়াম ০/১৭, বরকত ০/২১)।
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেট জয়ী
পাঠকের মতামত: