নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় খাবার সংকটে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ। এছাড়াও তিনি বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনভর বিভিন্নস্থানে কর্মতৎপরতার অংশ হিসেবে এখানে-ওখানে ছুঁটে যান।
এমপি জাফর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল চাপে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার কোচপাড়া-দিগরপানখালীস্থ এক নম্বর গাইড বাঁধ ধসে গিয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এই খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক এমপি মহোদয় সেখানে ছুটে যান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় ঠিক করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে সেই বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করেন। এতে গাইড বাঁধটি রক্ষাসহ পৌরসভার বিশাল জনবসতি রক্ষা পায়।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রুহুল আমিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, বদরখালী পউর উপ-বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী ইশতিয়াক নয়ন, চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা মো. শাহ আরমান সালমান পাউবোর জরুরী ভিত্তির এই কাজ দেখভাল করছেন।
আমিন চৌধুরী আরও জানান, এমপি মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ড শুক্রবার দিনভর সেই গাইড বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করেছেন। যা এখনো চলমান রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জরুরী কাজ এমপি মহোদয় সরজমিন পরিদর্শন করেন শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায়। এর পর তিনি ছুটে যান দিগরপানখালী খোদারকুম পয়েন্টেও। সেখানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধের ওপর পলিথিন বিছিয়ে বালুভতি বস্তা দিয়ে ভাঙন রক্ষা করাসহ সড়কটিতে চলাচল সচল করেন।
পানিবন্দি পরিবারের মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত ঃ এদিকে ভয়াবহ বন্যায় খাবার সংকটে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন এমপি জাফর আলম। তৃতীয় দিনের মতো এমপি জাফর আলমের পক্ষ থেকে চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ৯ ওয়ার্ডের ৯ হাজার পরিবার, কোনখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম ও চবি ছাত্রলীগ নেতা মনসুর আলমের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার পরিবারসহ বিভিন্ন এলাকায় খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্দি থাকা পরিবারগুলোর মাঝে এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে রান্না করা বিরিয়ানী ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলছে। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার পরিবারকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এতে বন্যা কবলিত এলাকার পরিবারগুলো খুব খুশি। এই তৎপরতা অব্যাহতভাবে চলবে, যেখানে পানিবন্দি থাকবে জনগণ।
পাঠকের মতামত: