ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বদরখালীতে বিধবার জায়গা দখলের চেষ্টা বাঁধা দেয়ায় মা ও মেয়েকে বেদম মারধর

ahotaচকরিয়া অফিস ::::

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের শহরিয়া পাড়া গ্রামের ৯০বছর বয়সী বিধবা নুরজাহান বেগমের ভোগদখলীয় জায়গা জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় ওই বিধবা ও তার মেয়েকে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটি ফেলে বেদম মারধর করা হয়েছে। ওইসময় বিধবার একমাত্র ছেলেকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও বহুল আলোচিত ব্যাংক ঋণ খেলাপি ছালেহ আমমদ সিকদারের বিরুদ্ধে দখল চেষ্টা ও ছেলেকে হুমকি দেয়ার এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই বিধবা।

অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের শহরিয়া পাড়ার মৃত লাল মিয়া সওদাগরের স্ত্রী বিধবা নুর জাহান (৯০) তার স্বামী ১৯৭৪ সনে মারা যাওয়ার পর থেকে স্বামী সুত্রে পাওয়া বর্ণিত জায়গায় শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ-দখল করে আসছিল। উক্ত জায়গা লাগোয়া অভিযুক্ত প্রভাবশালী ছালেহ আহমদের জায়গা আছে।

ভুক্তভোগী বিধবা অভিযোগ করেছেন, তার জায়গা প্রধান সড়কের সন্নিকটে হওয়ায় যাতায়তের সুবিধার্থে ওই প্রভাবশালী দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে শুক্রুবার থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও দলবল নিয়ে সীমানার জায়গা কাটা শুরু করেন। পরদিন শনিবার বেলা ১১ টার দিকে তিনি নুর জাহান বেগম (বিধবা) ও মেয়ে হামে তন্নুরকে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির নির্দেশে দুর্বৃত্তরা বিধবা ও তার মেয়েকে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধর করেন। বিধবা নুর জাহান অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন আগে জায়গা দখলে বাঁধা দেয়ায় তার একমাত্র ছেলে হেলাল উদ্দিনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় ছালেহ আহমদ সিকদার। এরপর থেকে তার ছেলে প্রাণে ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, বদরখালী কলেজের পাশে বিধবা নুরজাহানের পিতৃ-মাতৃহারা তিন নাতির পৈত্রিক মুল্যমান বেশ কিছু জায়গা একইভাবে গত বছর দখলের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ছালেহ আহমদ সিকদার। কিন্তু ওইসময় চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (চকরিয়া) কক্সবাজার এর হস্তক্ষেপে দখল চেষ্টা থেকে পিছু হঁেটন তিনি। স্থানীয় লোকজনের দাবি, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারোও আগের মতো অনাথের জায়গা দখল চেষ্টায় মেতে উঠেছে আলোচিত ব্যাংক ঋণ খেলাপী ছালেহ আহমদ সিকদার।

এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ প্রভাবশালী ভুমিদস্যু ছালেহ আহমদ সিকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অসহায় বিধবা জায়গাটি রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: