ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফাইতং ইসলামিক মিশনের ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আতঙ্কে জনগন

ফাইতং খেদারবানস্থ এলাকায় ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু পাশের ইসলামিক মিশন মাঠে মজুত করা হচ্ছে।

eeeএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনের অদুরে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের খেদারবানস্থ ইসলামিক মিশন এলাকায় ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলন করে চালিয়ে আসছে বাণিজ্য। এ অবস্থার কারনে এলাকার বিপুল পরিমাণ জনবসতি ও জনগনের চলাচলের একটি সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বালু উত্তোলনের স্থানটি চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনের কাছাকাছি ফাইতং ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের খেদারবানস্থ ইসলামিক মিশন এলাকায় হলেও চকরিয়া এবং লামা উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি নিয়ে অধ্যবদি কোন ধরণের আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে জড়িতরা অনেকটা বিনা বাঁধায় চালিয়ে আসছে বালু উত্তোলনপুর্বক অবৈধ ব্যবসা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় মৌলভী হাসান আলীর ছেলে মারুফ, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রাশেদ, নজু ড্রাইভারের ছেলে মো.মারুফ, বেলাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম, মুছা আলীর ছেলে আরাফাত ইসলাম, নাছির উদ্দিনের ছেলে আবদুল কুদ্দুছসহ তাদের লোকজন।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, ছড়াখাল থেকে এভাবে বালু উত্তোলনের কারনে বর্তমানে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার অন্তত তিন শতাধিক জনবসতি। এছাড়া চরম ঝুঁিকতে রয়েছে এলাকার জনসাধারণের চলাচলের একটি সেতু। এব্যাপারে এলাকাবাসি প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কোম্পানী বলেন, এলাকার একজন ব্যক্তি আমার কাছে এসে ছড়াখাল থেকে বালু উত্তোলনের কারনে জনবসতি ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।#

পাঠকের মতামত: