চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী লামার ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও লোকজনকে জুলুম নির্যাতন করে হয়রানি এবং অত্যাচারের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার নেতৃত্ব অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (২৩সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফাইতং স্টেশনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এরই আগে স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পুরো স্টেশন এলাকায় ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ দাবীতে তুলে বিক্ষোভ করেন। পরে স্থানীয় জনতা ছাত্রদের দাবীর প্রেক্ষিতে একত্বতা পোষণ করে তাদের সাথে নিয়ে বিশাল মানববন্ধন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা আলী হায়দার মানিক, স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মাহফুজুল করিমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক গত ৩ বছর ধরে পুরো ইউনিয়নের জনগণকে জিম্মি করে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট করে গেছেন। তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলা, হুমকি-ধমকি দিয়ে একের পর এক অন্যায় করে গেলেও সাধারণ মানুষ ছিল নিশ্চুপ। ওমর ফারুক চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার দলীয় নেতা-কর্মী দিয়ে এলাকায় নিজস্ব কিশোর গ্যাং তৈরি, নানাবিধ অপকর্ম, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, অর্থের বিনিময়ে রাতারাতি মামলার রায় পরিবর্তন, জমি সংক্রান্ত মামলায় ঘুষের মাধ্যমে সীমানা পরিবর্তন করার এহেন অভিযোগ তুলেন বক্তরা।
বক্তরা মানববন্ধনে আরো বলেন, পরিষদের উদ্যোক্তার মাধ্যমে জন্মসনদ, প্রত্যায়ন ও ওয়ারিশী সনদ প্রদানে মোটা অংকের টাকা দাবী, তার নিজস্ব দলীয় নেতা-কর্মীদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভিজিডি চাল, বয়স্ক ভাতা, টিসিবি পণ্য, ভাতার কার্ডে তালিকাভুক্ত করণে বড় ধরণের বৈষম্যের শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও গত ৫ আগস্টের পূর্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেছে তাদের বাড়িতে ও দোকানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলা, ভাংচুর চালিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক। শুধু তাই নয়, এলাকার গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার নামে প্রতিজনের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। তিনি নিরীহ মানুষের অবৈধ জায়গা-জমি দখল করে তার দলীয় লোকজনকে প্রতিষ্ঠা করে দেন। চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের অনৈতিক কর্মকান্ড, অনিয়ম দূনীতির এহেন কার্যকলাপের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার অপসারণের দাবী জানান বক্তরা।
এদিকে ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের অপসারণের দাবী জানিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনরত ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
পাঠকের মতামত: