সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন,টেকনাফ ::
প্রশাসনকে অমান্য করে টেকনাফে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের পর্যটকবাহী জাহাজগুলি। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ,কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন,বে ক্রুজ,এলসিটি কাজল,এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজগুলি যাত্রী নিয়ে নিয়মিত সেন্টমার্টিনের দিকে যাওয়া-আসা করছে। তার মধ্যে এলসিটি কুতুবদিয়া,বে-ক্রুস,এলসিটি কাজল এই জাহাজগুলি প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ যাত্রী নিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রতিদিন এ জাহাজগুলোতে করে পর্যটকদের স্বপ্নের দীপ সেন্টমার্টিন দেখার জন্য হাজার হাজার পর্যটক অনেক দুর থেকে এসে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে। তারা একমাত্র আগ্রহের টানে দীর্ঘদিনের অভিলাষ পুরণের উদ্দেশ্যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। এলসিটি কুতুবদিয়ার কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছে, এই জাহাজটি তাদের অনুমতির চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে। এমনকি তারা আরও বলেন, আমরা এই ব্যাপারে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজের ইনচার্জ আজিজ কুতুবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আজকে তাদের জাহাজে যাত্রীর সখ্যা ৩০০ জন। অথচ তাদের আর একজন সহকারী ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ ২৯ জানুয়ারী তাদের জাহাজে যাত্রী হয়েছে৪৯০ জন। আসলে এইভাবে দুই কথা বলেই কি তারা পার পেয়ে যাবে,তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা হবেনা, এটাই এখন সকলের প্রশ্ন। এ ব্যাপারে সচেতন মহল বলেন, ইউএনওসহ সকলের তদারকির মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া কমানো সম্ভব। ফলে এই মুহুর্তে তদারকি জরুরী। অতিরিক্ত যাত্রীর ব্যাপারে জানতে চাইলে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে পর্যটকবাহী জাহাজ ছাড়ার কোন সুযোগ নেই। তাদের যার যত জন নেওয়ার পারমিট আছে সেই পরিমাণ যাত্রী নিয়েই সেন্টমার্টিন যেতে হবে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি জাহিদ ইকবাল বলেন, কোন জাহাজে যদি অতিরিক্ত যাত্রী পাওয়া যায় তাহলে পর্যটক ও জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা।
পাঠকের মতামত: