নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ৯০ শতাংশ মানুষ প্রবাল চেনেন না বলে জানিয়েছেন সামুদ্রিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।
গত রোববার (৩০ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়ন সম্পর্কিত এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান।
সাঈদ মাহমুদের দাবি অনুযায়ী গবেষণার পর তারা দেখতে পেয়েছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল রয়েছে, যার ৯০ শতাংশ মানুষ এখনো চেনেন না। এ ছাড়াও দ্বীপে ১৫৪ প্রজাতির জীববৈচিত্র্য রয়েছে। ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৫ প্রজাতির কাছিম, ৬৭ প্রজাতির পাখি ও ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক এবং ১২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেলেও এদের অধিকাংশই বিলুপ্তির পথে।
৩ ধরনের কাছিমের প্রজননস্থান সেন্টমার্টিন। কিন্তু পরিবেশ দূষণে কাছিম ডিম পাড়তে আসছে না। ফলে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। মানুষের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীপ।
সাঈদ মাহমুদ আরো জানান, সেন্টমার্টিন নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণায় দেখা যায় অতিরিক্ত পর্যটকের চাপের কারণে ক্ষতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র হোটেল, মোটেল নির্মাণ, নির্বিচারে গাছ কর্তন এবং বর্জ্যে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে কোরাল তথা প্রবালসহ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় সবার পরামর্শ চেয়েছেন। এদিকে দ্বীপে যত্রতত্র স্থাপনা ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। রাইজিংবিডি
পাঠকের মতামত: