নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আপামর জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন চকরিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সফল মেয়র জননন্দিত জননেতা আলমগীর চৌধুরী। আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত” নৌকা” মার্কার মেয়রপ্রার্থী বর্তমান সফল মেয়র জননেতা আলমগীর চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আজ সোমবার ১৫ মার্চ চকরিয়া এসেছেন। তাঁর আগমন উপলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের পাশাপাশি সর্বস্তরের পৌরবাসির পক্ষথেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সোমবার বিকেল ২টার আগে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং চকরিয়া পৌরবাসির পক্ষথেকে বিশাল মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে হারবাং ইনানী রিসোর্ট মিলনায়তনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীকে প্রথমে বরণ করেন।
এরপর মোটর শোভাযাত্রা সহকালে দলীয় নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনতা চকরিয়া মগবাজার কমিউনিটি সেন্টার মাঠে গণ-সংবর্ধনায় অংশনেন। বিকাল পাঁচটার কিছু আগে মেয়রপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরী সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছলে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্নস্তরের নাগরিকরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন। এরপর মেয়রপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও চকরিয়া পৌরবাসির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনারের সভাপতিত্বে ও চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ সম্পাদক শফিউল আলম বাহার, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক, সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, চকরিয়া উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাউছার উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি মুজিবুল হক মুজিব, অর্থসম্পাদক আজিজুল হক, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মামুন, চকরিয়া উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব আমির হোসেন আমু, চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল চন্দ্র সুশীল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক লোটাস, চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ধুলু, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সাজিব, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ প্রমুখ।
এছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সর্বস্থরের জনসাধারণ অংশগ্রহন করেন। সংবর্ধনার আগে একইমঞ্চে চকরিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় শোকরিয়া প্রকাশ করে অন্তত দুই শতাধিক আলেম-ওলামার অংশগ্রহনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় খতমে কোরান ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কফিল উদ্দিন ফারুক ও প্রখ্যাত আলেম হাফেজ বশির আহমদ।
গণসংবর্ধনার জবাবে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় প্রথমে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এরপর তিনি পৌরবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রিয় চকরিয়া পৌরবাসি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। প্রতিদান হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোট দিয়ে পৌরবাসি আমাকে নির্বাচিত করেন। আমি নির্বাচিত হবার পর থেকে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানর্গাড হিসেবে আওয়ামীলীগের সকল কর্মসুচিতে ছিলাম এবং একজন ক্ষুদ্র সেবক হিসেবে পৌরবাসির জন্য কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আমি বিগত পাঁচবছর দায়িত্বপালন কালে কোনধরণের অপকর্মে জড়িত ছিলাম না, দখলবাজি, চাঁদাবাজির মতো কোন কালিমা আমার গায়ে লাগতে দিইনি। অহেতুক কোন কারণে একজন মানুষকেও কষ্ট দিইনি। আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীকে সম্মাণ দিয়েছি। নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে খবর নিয়েছি, সাধ্যমতো সহযোগিতা দিয়েছি। একসঙ্গে অন্যদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত সর্বসাধারণকেও আমি ব্যক্তিগতভাবে সম্মাণ দিয়েছি।
মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, পাঁচবছর দায়িত্বপালন কালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসুচি চকরিয়া পৌরবাসির মাঝে পৌঁছে দিয়েছি। উল্লেখিত সময়ে কমপক্ষে ৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পৌরবাসিকে উপহার দিয়েছি। এই উন্নয়ন কাজের জন্য পাঁচবছরে আমি ৩৮২বার ঢাকা গেছি, মন্ত্রানালয়ের তদবির করেছি। আমার সবচেষ্ঠা ছিল শুধুই চকরিয়া পৌরবাসির জন্য। আর এই উন্নয়নকাজের বদৌলতে গত ৫বছর পৌরসভার সাধারণ জনগণের ভালোবাসা অর্জন করেছি। তাই সবকিছু বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করেছে।’
আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, পাঁচবছরের ভালো কাজের বিপরীতে সরকারি বেসরকারি সবগুলো এজেন্সির প্রতিবেদন এবং কক্সবাজার জেলা, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দেয়া মতামতের আলোকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। বিশ^াসের প্রতিদান হিসেবে দেশরত্ম শেখ হাসিনা চকরিয়া পৌরবাসির কল্যাণে কাজ করতে আমাকে আবারও দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। এইজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা চকরিয়া পৌরবাসিকে উৎসর্য করলাম। আশাকরি, চকরিয়া পৌরবাসি উন্নয়নের পক্ষে থাকবেন। এবারের নির্বাচনে সকলধরণের ভয়ভীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটে আবারও জয়ী করবে আমাকে জনগনের খেদমত করার সুযোগ দেবেন।
পাঠকের মতামত: