নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের দুইটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ১১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ ২৫ মার্চ। এরই মধ্যে ব্যাপক প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থীদের শোডাউনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে।
আচারণবিধি লংঘন হলেও জেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় ব্যাপক শোডাউনের মহড়া চলছে প্রার্থীদের মাঝে। পাল্টাপাল্টি শোডাউনে উৎসবমুখর পরিবেশের পাশাপাশি কয়েকটি ইউনিয়নে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিরও সৃস্টি হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু হায়দার। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অপর ৩ সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যাপক শোডাউন করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক চৌধুরী রুহুল একাধীক শোডাউন করেছেন। জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার রুহুল আমিন ও বর্তমান চেযারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক গনসংযোগে নেমে পড়েছেন। এতে শোডাউন প্রতিযোগীতায় নেমে পেড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীও।
কুতুবজুম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডঃ শেখ কামালের পাশাপাশি ব্যাপক শোডাউন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল আমিন খোকা।
প্রতিদিন এসব সম্ভাব্য প্রার্থীদের গনসংযোগ ও শোডাউনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো ইউনিয়নে।
হোয়ানক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা কামালের পাশাপাশি ব্যাপক শোডাউন ও গনসংযোগে নেমে পড়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মির কাসেম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ওয়াজেদ আলী মুরাদ।
কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুং এ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইয়াহিয়া খান। ইতোমধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গনসংযোগ করে যাচ্ছেন সাবেক জামায়াত নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজদৌল্লাহ।
পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বহিস্কৃত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম। তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আবেদন করলেও কোন সুরাহা হয়নি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
টেকনাফের সেন্টমার্ন্টিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মুজিবুর রহমান। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা ব্যস্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ হোসেন।
সাবরাং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোনা আলীর বিপরীতে ব্যাপক শোডাউন ও গনসংযোগ চালাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে চকরিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এতে দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে নির্বাচনের ময়দানে ব্যাপক শোডাউন ও গনসংযোগ চালাচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও সাংসদ জাফর আলমের ভাতিজা জিয়াবুল হক।
মহেশখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বর্তমান মেয়র মকছুদ মিয়া। এতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম। দুই প্রার্থীই এখন ব্যাপক গণসংযোগ করে ভোটারদের দৃস্টি আকর্ষনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কেন্দ্র যেভাবে নির্দেশনা দেয় সেভাবেই আমরা কাজ করব। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী শোডাউনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখবে। এতে আমাদের করার কিছু নেই।
পাঠকের মতামত: