মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশ ফের অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে। সম্প্রতি সময়ে এবিসি সড়কের পেকুয়ার টইটং সীমানন্ত ব্রীজ এলাকা থেকে পেকুয়া চৌমুহুনী মোড় হয়ে বাগুজারা ব্রীজ পর্যন্ত সওজের অধিগ্রহণকৃত জায়গা ফের দখল করে দোকানপাঠসহ নানা ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করে গুটিকয়েক সংঘবদ্ধ প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখলে নিলেও সওজের খবর নেই!
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দেড় বছর পূর্বৈ সড়ক ও জনপথ বিভাগ অভিযান চালিয়ে এবিসি সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাঠ ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল। কিন্তু এরপর সওজের কোন ধরনের তদারকী না থাকায় ফের আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশ দখল হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল ৩০ অক্টোবর বিকালে সরেজমিনে পেকুয়া এবিসি সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, টইটং বাজারে দুই পাশে সওজের উচ্ছেদকৃত জায়গার উপর ফের ঝুপড়ি দোকান নির্মান করা হয়েছে। এবিসি সড়কের টইটং হাজী বাজার পয়েন্টেও সওজের জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাঠ নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। গত দেড় বছর পূর্বে ওই জায়গা থেকে সওজ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল। হাজী বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় উপর অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে স্থানীয় কতেক লোক ফার্নিচার, ফলমূল ও মুদির দোকানের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারসে। এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের পেকুয়া চৌমহুনী পয়েন্টেও সড়কের দুই পাশেই দখল করে আবারো বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট তৈরী স্থানীয় কিছু লোক অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চৌমুহুনী মোড়ের পশ্চিম পার্শ্বে সড়কের নালার উপর বসানো হয়েছে দোকান পাট। এসব দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে সড়ক বিভাগ। চৌমহুনী মোড়ে নালা ও সওজের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান পাঠ তৈরীর কারণে প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। প্রতিনিয়তই দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা উচ্ছেদকৃত জায়গার উপর ফের দোকান তৈরী করে ভাড়া দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে সওজের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছেন।
অপরদিকে এবিসি সড়কের টইটংয়ের হাজী বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে শাহাব উদ্দিনের ব্রীক ফিল্ডের সামনেও সওজের জায়গায় গড়ে উঠেছে দোকান ঘর, ধনিয়াকাটা বাজারেও গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকন ঘর। পেকুয়া চৌমুহুনী এলাকায় মাষ্টার মরহুম নুরুল হক চৌধুরীর মার্কেটের সামনেও সওজের জায়গা দখল করে ঝুপড়ি দোকানঘর তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও পেকুয়া চৌমুহুনী থেকে বাগুজারা ব্রীজ পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে সওজের জায়গার উপর গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।
জানা গেছে, সওজের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর দখলবাজ রাতারাতি সওজের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে তাতে নানা ধরনের স্থাপনা তৈরী করছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পেকুয়া এবিসি সড়কের দুই পাশ সওজের অধিগ্রহকৃত জায়গা। সওজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তা অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে।
পাঠকের মতামত: