ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ৭০ একর জমির বোরো চাষের অনিশ্চিত: দিশেহারা কৃষক

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া ও মাইজ পাড়া গ্রামের ৭০ একর জমির বোরো চাষের অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে স্থানীয় শত শত কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ওই ৭০ একর জমির পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া ও মাইজ পাড়া গ্রামের কৃষক নাছির উদ্দিন, নরুল হোছাইন, কামাল, আনোয়ারসহ আরো একাধিক কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, চলতি বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলে মৌলভী পাড়া ও মাইজ পাড়া গ্রামের কৃষকদের নানাভাবে চাষাবাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একই গ্রামের মাষ্টার নুরুল ইসলামের পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মহব্বত, আতা উল্লাহ আরফাত, আমান উল্লাহ সহ একাধিক লোক। কৃষকরা আরো জানান, তাদের দুই গ্রামে প্রায় ৭০ একর চাষাবাদের বোরো জমি রয়েছে। এসব জমিতে পাশ্ববর্তী ভোলা খাল থেকে মিঠা পানি সেচ পাম্প বসিয়ে ড্রেনের মাধ্যমে সেচ দেওয়া হয়। এদিকে বোরো মৌসুমের শুরুতে সেচ পাম্প বসাতে দিচ্ছেনা ওই আহসান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। তারা প্রতিনিয়িতই কৃষকদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষককরা জানান, আহসান উল্লাহ গং গতকাল রোববার দুপুরে পেকুয়া থানা থেকে পুলিশ নিয়ে কৃষকদের সেচ পাম্প মেশিন বসাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রভাবশালীরা মৌলভী পাড়া (চরপাড়া) গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে একটি অবৈধ ঝুঁপড়ি ঘর তৈরী করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ঝুঁপড়িতে প্রতিনিয়তই মাদকের কেনাবেচাসহ অসামাজিক নানা কার্যকলাপ সংগঠিত হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছর মৌলভী পাড়া ও মাইজ পাড়া গ্রামের মাঝামাঝিস্থানে ভোলা খালের তীরে সেচ পাম্প বসিয়ে মিঠা পানি উত্তোলন করে কৃষকরা ওই দুই গ্রামের ৭০ একর জমির বোরো চাষাবাদ করে কৃষকরা সোনার ফসল ঘরে তুলত। এখন সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই গ্রামের শত শত কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা অবিলম্বে ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছেন।

ইউপি সদস্য এম মাহবুল করিম এর সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন আমি তাদেরকে বারং করেছি। আগামীকাল আমি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে বসব । কোন অবস্থাতে বুরো চাষে অনিশ্চিয়তা হোক এটা কখনো করতে দেয়া যাবে না।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানিয়েছেন পুলিশ কাজে বাধা দেয়নি। ১.০০ একর খাস জায়গায় নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগামীকাল ইউনিওস্যারকে নিয়ে আমরা বসব ।

পাঠকের মতামত: