পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় কর্মরত ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। এতে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাদাবি ও চাঁদা না দেয়ায় সংবাদ পরিবেশন করে ১০ লক্ষ টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশের এএসপি সার্কেলকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৬ নভেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চীম টইটং নিন্তান্তঘোনা এলাকার বাসিন্দা হাজী জাফর আহমদ। এতে ৫ সাংবাদিক ও তাদের এক সহযোগি সহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর দায়ের করা মামলার বিবরণ থেকে ও বাদী জাফর আহদের সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার জনৈক এডভোকেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর মালিকানাধীন ৬ একর জমি চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু অক্টোবরের ১৯ তারিখে তিনি জমি থেকে পাকা ধান কাটার সময় ৫ জন ব্যক্তি জমিতে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তা না দেয়ায় গত ২১ নভেম্বর এসে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এতে তার ১০ লক্ষ টাকার মানহানি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার ১নং আসামি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘পেকুয়ার একজন সাংবাদিকের ইন্ধনেই জাফর আহমদ ইনটেনশনালী আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে আমরা পেকুয়ার সাংবাদিকরা জরুরী বৈঠকে বসে ওই সাংবাদিককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি এবং তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচী পালিতে হচ্ছে।’ অপর আসামি সাংবাদিক মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন জানান, ‘আমি ঘটনাস্থলেও যাইনি। অন্যান্য সাংবাদিকদের দেয়া তথ্যমতে একটি সংবাদ পরিবেশ করেছি মাত্র। সেজন্য আমাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে পেকুয়ার ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক, প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
পাঠকের মতামত: