মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় যৌতুকের টাকার জন্য স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হালিমা বেগম (১৯) নামের এক গৃহববধূর উপর নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৮ ডিসেম্বর বিকালে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী হালিমা বেগমকে মারধর করেন পাষন্ড স্বামী। এতে হালিমা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের কাটা পাহাড় গ্রামে।
নির্যাতিত গৃহবধূ হালিমা বেগম জানান, দুই বছর আগে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব টইটং ছনখোলারঝুম গ্রামের জমির হোসেনের ছেলে মিজান উদ্দিনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পরিবার থেকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছিল স্বামী। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।
হালিমা বেগম বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ডিসেম্বর বিকালে স্বামী মিজান উদ্দিন ৫০ হাজার টাকা বাপের বাড়ীতে থেকে এনে দেওয়ার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করেন। এসময় যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঘরের ভেতরে আটকে রেখে তাকে অমানুষিক কায়দায় মারধর করেন। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বামী ও শাশুর বাড়ীর লোকজন তাকে দুই দিন বাড়িতেই আটকে রাখেন। পরে তার পিতা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কমরত চিকিৎসক জানান, গৃহবধূ হালিমা বেগমকে গত ১০ ডিসেম্বর জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। হালিমার শরীরের একাধিকস্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাসপাতাল বেডে শুয়ে থাকা নির্যাতিত গৃহবধূ হালিমা বেগম স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধির কাছে তার উপর স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম চকরিয়া নিউজকে বলেন, নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে তার স্বামী ও শাশুর বাড়ির ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: