নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :: পেকুয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্যতম সংগঠন বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কাউন্সিলকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে উচ্ছাস ও আনন্দঘন পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শনিবার ১৪ মার্চ যুবদল পেকুয়া উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্টিত হওয়ার দিনক্ষন চুড়ান্ত করা হয়েছে। পেকুয়া বাজার সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে ওই সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্টিত হবে। জাতীয়তাবাদী যুবদল পেকুয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা জানান, শনিবার ১৪ মার্চ যুবদলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্টিত হবে। এ লক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সুত্র জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর পর যুবদল উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দলের সম্মেলন করতে যাচ্ছে। নেতৃত্বের মাধ্যমে সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে দলটি কাউন্সিল প্রক্রিয়া বেচে নিয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সারাদেশে চলমান আছে। এর অংশ হিসেবে উপজেলা পেকুয়ায়ও যুবদলের কাউন্সিল হচ্ছে। গত ৭ বছর আগে যুবদল পেকুয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছিল। ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু।
টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জেডএম মোসলেম উদ্দিন আহমদকে সাধারন সম্পাদকসহ যুবদলের পেকুয়ার পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় জেডএম মোসলেম উদ্দিনকে আহবায়ক ও কামরান জাদীদ মুকুটকে সদস্য সচিব করে আরেকটি কমিটি মেয়াদকাল শেষ করেছে। বর্তমানে দলটির পেকুয়ার প্রধান মুখপাত্র হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা কামরান জাদীদ মুকুট। তিনি যুবদলের রাজনীতিকে পেকুয়ায় মাঠে ময়দানে অত্যন্ত সুসংহত ও শক্তিশালী করতে কাজ করেছে। যুবদল পেকুয়া উপজেলার জৈষ্ট্য নেতৃবৃন্দরা জানান, দুটি পদে নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য গণতন্ত্র চর্চা বিকশিত করা হবে। কাউন্সিলার ও ডেলিগেটরা উপস্থিত থেকে সম্মেলন সমাপ্তি করবে। দুটি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। তবে সভাপতি পদে কামরান জাদীদ মুকুটের বিপক্ষে কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা নাও করতে পারেন। তার বিচক্ষন রাজনৈতিক প্রজ্ঞাতে দলের নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তবে সাধারন সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। একটি পদের জন্য যুবদলের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে প্রতিযোগিতা করবে। সাবেক ছাত্রনেতা যুবদল উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক আসিফ খালেদ, সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম বিটু, সাজ্জাদ নুর, ইয়াসিন আরাফাত, সাবেক ছাত্রনেতা ওয়াহিদুজ্জামান, সদর পূর্বজোন সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাছ ও মাহামুদুল করিম, যুবদল সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওই দিন বিকেলে সম্মেলন অনুষ্টিত হবে।
যুবদল পেকুয়ার সভাপতি কামরান জাদীদ মুকুটের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সহ-সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল, চট্ট্রগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোর্শেদ হোসেন দীপ্তি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। যুবদল কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল সম্মেলনের উদ্বোধক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি থাকবেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মিনার, সহ-সাধারন সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম তিতাস, চট্ট্রগ্রাম বিভাগীয় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জামান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আজিম সুমন, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসাইন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসান প্রমুখ। সম্মেলনে ও কাউন্সিলে ১৪১ জন কাউন্সিলার চুড়ান্ত করা হয়েছে। উপজেলা কমিটি থেকে ১০১ জনকে কাউন্সিলার মনোনীত করে। প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৫ জনকে কাউন্সিলারসহ ১৪১ জন কাউন্সিলার ওই দিন চুড়ান্ত নেতৃত্বের জন্য হাউজে সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।
পাঠকের মতামত: