পেকুয়ায় বৃদ্ধা মাকে অমানবিক পিটিয়ে আহত করেছে আপন তিন অবাধ্য ছেলে। এ সময় মায়ের একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাইটুকু জবর-দখল করে নিয়েছে তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলোর মগনামা ইউনিয়নের পুরাতন বহদ্দরপাড়া এলাকায়। আহত আরিয়া বেগম (৭০) ওই এলাকার মৃত.মো.আলমের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ৩০শতক পৈত্রিকসুত্র প্রাপ্ত জায়গাতে বসতবাড়ি নিয়ে প্রায় ২২বছর ধরে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিলেন বৃদ্ধা আরিয়া বেগম। তার স্বামী আট মাস আগে বিয়োগ হয়েছে। জানা গেছে তার চার সন্তানের মধ্যে চার সন্তান বিবাহিত। গত চারমাস আগে ছোট ছেলে মাহাবুল হক এর বিয়ে হয়েছে। মা আরিয়া ছোট ছেলের ভরন পোষন পান। সম্প্রতি আবধ্য তিন সন্তানের সাথে মা ও ছোট ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। মায়ের সমুদয় সম্পত্তি থেকে তাকে ও তার ছোট ছেলেকে উচ্ছেদ করতে তৎপর হন আরিয়ার তিন ছেলে। এদের মধ্যে বড় ছেলে কাইসার মরিয়া হয়েছেন। এর সুত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে কাইসারের নেতৃত্বে অপর দু’ভাই রিয়াজ ও জিয়াবুল বসতঘর দখলের কুমানসে মায়ের বসবাসরত পৃথক বসতঘরে হানা দেয়। এ সময় ব্যাপক তান্ডবসহ বসতঘর গুড়িয়ে দেয়। এ সময় মা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত ওই সন্তানরা বৃদ্ধা আরিয়াকে নিষ্টুর পিটিয়ে আহত করে। জানা গেছে ওই স্থানে কাইসার নিজের বসবাসের জন্য সাথেই অপর একটি নতুনঘর তৈরীর কাজ শুরু করে দেয়। মা ও ছোট ভাইকে ওই ভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা এক আতœীয়’র বাড়িতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আরিয়া বেগম জানিয়েছেন পুরো বসতভিটা আমার নামে। আমি ছোট ছেলে কাইসারের সাথে থাকি। বড় ছেলে আমার মাথা গুজার ঠাইটুকু কেড়ে নিতে এদিন আমাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তিন ছেলে এক হয়েছে। তারা নতুর ঘর করছে ওখানে। এর আগেও আমার ব্যবহৃত একটি পুকুর তারা অন্যজনকে বন্ধক দিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
পাঠকের মতামত: