ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা হত্যা মামলার প্রধান আসামী এখানো অধরা!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::  এখনো ধরা পড়েনি কক্সবাজারের পেকুয়ায় বস্তবন্দী মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওমর ফারুক (২২)।

মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা (১৬) হত্যা মামলার মূল রহস্য পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটকও করেছিল। তবে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওমর ফারুককে হত তুই মাসেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পেকুয়া থানা পুলিশ বলেছেন, আয়েশা ছিদ্দিকা হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ওমর ফারুককে ধরতে সব ধরনের কৌশল ও পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ভোর ৬.৩০ মিনিটের দিকে বস্তাবন্দী ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মগনামা শাহ রশিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা গত বছরের ২১ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাড়ি মগনামা ইউনিয়নের ফতেহ আলী মার পাড়া থেকে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। সে সময় থেকে প্রায় ২৪ ঘন্টা নিখোঁজ ছিল। পরদিন ২২ নভেম্বর ভোরে বস্তাবন্দী অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আয়েশা ছিদ্দিকার পিতা মগনামা ইউনিয়নের ফতেহ মার পাড়ার জামাল উদ্দিন (৪২) বাদী হয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ০৮/১৯। মামলায় ১ নং আসামী করা হয়েছে একই ইউনিয়নের মিয়াজিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে বখাটে ওমর ফারুককে।

এ ছাড়া ওই মামলায় ওমর ফারুকের চাচা কামাল হোসেন (৪০), কামাল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), অপর চাচী আমির হোসের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫)সহ ৪ জনকে আসামী করে। এদের মধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশ ওমর ফারুকের চাচী হালিমা বেগম ও রোকেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।

এামলার এজাহারে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা উল্লেখ করেছেন, তার মেয়েকে ওই বখাটে ওমর ফারুক ফুঁসলিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নিষ্টুরভাবে খুন করেছে। লাশ গ্রামের সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার এস,আই আবদুল মালেক জানায়, দুই জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: