নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বেড়িবাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ৩ সহোদরকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। রোববার (১৮ জুন) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের জেটিঘাট স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-মগনামা ইউনিয়নের ফতেহ আলী পাড়ার মো: ফেরদৌসের পুত্র মাছ ব্যবসায়ী মো: রায়হান (৩২), তার ভাই মো: রাশেদ (৩০) ও মো: মোর্শেদ (২৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মগনামা জেটিঘাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের সরকারী জায়গা নিয়ে ফতেহ আলী পাড়ার মো: ফেরদৌস ও একই ইউনিয়নের মওলারপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র মো: ইব্রাহীম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সরকারী ওই জায়গাটি মো: ফেরদৌসের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করছিলেন। সম্প্রতি জায়গা নিয়ে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ইব্রাহীম গংদের। এ নিয়ে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ আছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিমাপসহ জায়গাটির বৈধ দখলদার হিসেবে মো: ফেরদৌসকে দখল বুঝিয়েসহ বৈধতা নিশ্চিত করে।
এ দিকে গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ইব্রাহীমসহ ১০/১৫ জনের লোকজন বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণকাজ চালানোর প্রচেষ্টা চালায়। এতে করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাসহ বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় ফেরদৌসের ৩ পুত্র রায়হান, মো: রাশেদ ও মো: মোর্শেদসহ ৩ জনকে মাথায় ও হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান, জায়গাটি মো: ফেরদৌস ভোগ করছিল। ইব্রাহীম গং সেখানে জবর দখলের চেষ্টা করছিল। থানায় বিচার আছে। পেকুয়া থানার এস, আই ইব্রাহীম ও এ,এস,আই জসিম উদ্দিন কয়েকদফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারপরও প্রতিপক্ষ গিয়ে সেখানে দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করছিল। ফেরদৌসের পরিবারের চলাচল পথ আটকিয়ে তারা এ পরিবারকে অবরুদ্ধ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ওমর হায়দার জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##
পাঠকের মতামত: