ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানা ঘেরাও, নাশকতার অভিযোগে জামায়াত নেতা গ্রেফতার

মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া (কক্সবাজার) :

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাঁনচাল ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা সদর জামায়াতের আমির নুরুজ্জামান মঞ্জুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে জামায়াত নেতা মঞ্জুকে আটকের প্রতিবাদে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীর নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী পেকুয়া থানা ঘেরাও করেছে। থানা কম্পাউন্ডে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্ঠা করে। পরে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানান, নর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জামায়াত নেতা নুরুজ্জামান মঞ্জুর বাড়িতে নির্বাচন বানচাল ও নাশকতা পরিকল্পনার ১৫-২০জন জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার নিয়ে বৈঠক করেছিলা। ওইসময় গোপন সংবাদ পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা পালিয়ে গেলেও জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে সেখান থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসা হয় নুরুজ্জামানকে।

এদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতারে প্রতিবাদে পেকুয়া থানা ঘেরাও করেছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসিনা আহমদ। তার নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী পেকুয়া থানা ওসির কক্ষে আধা ঘন্টা অবস্থান করেন। এসময় তিনি পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভুঁইয়ার কাছ থেকে জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানকে ওয়ারেন্ট না থাকার পরও কেন গ্রেফতার করা হলো ? ওসি বিএনপি নেত্রীকে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়। এরইমধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা থানার বাইরে তার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে হাসিনা আহমদ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিভারণ করে থানা কম্পাউন্ড ছাড়তে বলেন। পরে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে থানা এলাকা ছেড়ে চলে যান।

জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগও ছিল না। এরপরও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রতারণাসহ কয়েকটি মামলা থাকলেও সেই মামলায় জামিনে রয়েছেন বলে তিনি জানান। পুলিশ জানান, রাত ৮টার দিকে জামায়াত নেতা মিছবা উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাফায়াত আজিজ রাজু বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ নেতাকর্মী নিয়ে থানায় যান। ওইসময় ওসির কাছ থেকে জামায়াত নেতা গ্রেফতারে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এরপরই সেখান থেকে চলে আসি। তবে থানা ঘেরাওয়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, জামায়াত নেতা নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্বাচন বানচাল ও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুপুরে নাশকতার জন্য জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের নিয়ে তার বাড়িতে বৈঠক করেছিলো। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারের কথা জানান তিনি।

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে অভিযোগ পেয়ে মঞ্জুকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতা পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: