৩৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ মহাসড়কটির কাজ শেষ হলে চকরিয়া-পেকুয়াবাসীরা উন্নয়নে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তবে লঞ্চঘাট ষ্টেশন থেকে সাব-মেরিন নৌঘাঁটি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে প্রায় তিনশত পরিবার উচ্ছেদ আতংকের মধ্যে রয়েছে।
আজ বুধবার (১০মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ওই জায়গার উপর দাঁড়িয়ে চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে শতশত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সড়কটি পশ্চিম পার্শ্বে সম্প্রসারণের এ দাবী জানান।
এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিচ্ছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পেকুয়ার মগনামায় হচ্ছেন বৃহত্তর সাব-মেরিন নৌঘাঁটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে শতশত মানুষ তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও উন্নয়ন প্রকল্প হলে ঘর বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য জনগণ প্রস্তুত আছে। এরই মাঝে শুরু হয়েছে ৩৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলি থেকে সাব-মেরিন নৌঘাঁটি পর্যন্ত বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের কাজ। লঞ্চঘাট ষ্টেশন থেকে সাব-মেরিন পর্যন্ত পূর্ব পার্শ্বে এক কিলোমিটার জায়গায় প্রায় তিনশত পরিবার বসবাস করে থাকে। সড়কটি সম্প্রসারণ করতে গিয়ে তিনশত পরিবার উচ্ছেদ আতংকের মধ্যে রয়েছে। অথচ সড়কটি সম্প্রসারণ করতে চাইলে পশ্চিম পার্শ্বে অনেক জায়গা পড়ে রয়েছে। ঠিকাদার চেষ্টা করলে সড়কটি পশ্চিম পার্শ্বে নিয়ে গেলে কোন ধরণের অসুবিধা হবেনা। এটি করলে শতশত জেলে পরিবার ও অসহায় পরিবার দুঃখ ও দূর্বিসহ জীবন থেকে বেঁচে যাবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ, ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ বদ, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য আজিজুল হক, লঞ্চঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল, ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম, ভুক্তভোগী আবদুল খালেক ও ভুক্তভোগী মামুন।
পাঠকের মতামত: