এম.জাহেদ চৌধুরী :: বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা। এসময়ে ৬টি জনবহুল স্থানে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ, পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাংচুরকালে আতংক ছড়িয়ে পড়ে কক্সবাজারের পেকুয়ায়। পূর্ব কোন ঘোষনা ছাড়াই মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি করে বেশ ক’জন লোক হঠাৎ গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ শুরু করলে ভয়ে মানুষ আত্মরক্ষার্থে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। ওইসময় বন্ধ করে দেয়া হয় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় লক্ষ্য করে ছোড়া একটি পেট্টোল বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সিএনজি চালিত টেক্সিতে পড়লে আগুন ধরে যায়। আরো চারটি বোমা নিক্ষেপ করলেও বিস্ফোরণ হয়নি। অপর একটি টেক্সি ভাংচুর করা হয়। উপজেলার টৈটং হাজি বাজার পেকুয়া বাজারস্থ উজানটিয়া সিএনজি স্টেশন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে, সালাহউদ্দিন ব্রীজের পূর্ব পাশে, নন্দীর পাড়া স্টেশন ও মৌলভী পাড়া ব্রীজ এলাকায় ১০০ থেকে ১২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের একাধিক টিম ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় আতংক সৃষ্টিকারীরা। পুলিশ বোমা নিক্ষেপ করা ও ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ দুটি সিএনজি চালিত টেক্সি এবং অবিস্ফোরিত চারটি পেট্টোল বোমা উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত কাউকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশের দাবি তফসিল ঘোষনার পূর্ব রাতে আতংক ছড়াতেই গুলি বর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। এই অভিযোগে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল নাথ বাদি হয়ে ১৭৫ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে ৫০-৬০জনকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা দাবি করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাজানো ঘটনায় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মামলায় জড়িয়ে পেকুয়াকে বিএনপির কর্মী শূণ্য করে ভোটে খালি মাঠে গোল করতেই এ অপপ্রয়াস।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বুধবার রাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনগত ও বিশেষ কারণে এজাহারনামীয় আসামীদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।
পাঠকের মতামত: