পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে ৯২শতক জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিরোধপুর্ন জমিতে প্রতিপক্ষের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একপক্ষ আদালতে ১৪৪ধারার জন্য এমআর মামলা দায়ের করেন। আদালত ১৪৪ধারার পক্ষে আদেশ দিয়ে বিরোধপুর্ন জমিতে বিরোধীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ রোধ করতে পেকুয়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে ৯২.৩৫একর জমির আধিপত্য নিতে প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। একপক্ষ অপরপক্ষকে ঠেকাতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে। জানাগেছে পেকুয়া মৌজার বিএস ৭৯২নং খতিয়ানের বিএস ৪৬৩১দাগের আন্দরে ৯২.৩৫একর জমির মালিকপক্ষ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন মেহেরনামা এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ টুনুর ছেলে মো.বদরুজ্জামান গং। তারা ওই জমির বৈধ মালিক ও দখলদার। সম্প্রতি ওই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় একই ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার আকবর আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন, শাহআলমের ছেলে ইমু, বরকত আলীর ছেলে ফরিদুল আলম, সেকান্দার আলীর ছেলে মাহমুদুল হোসেন, জাকের আহমদ ও নজির আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম গংদের। তারা বিরোধপুর্ন জায়গা জবর-দখলের চেষ্টা করছে। অপরদিকে বদরুজ্জামান গত ২৪জানুয়ারী কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১২৩/১৬। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করছেন পেকুয়া থানার এস আই মো.শাহেদুল্লাহ। এ ব্যাপারে বদরুজ্জামান বলেন কাগজপত্র ও দলিল আমার পক্ষে আছে। বিবাদি পক্ষ অহেতুক আমাকে হয়রানি করছে।
######################
পেকুয়ায় কাউন্সিলরদের সাথে বৈঠক করেছেন মাসেদুল হক রাশেদ
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় কাউন্সিলর ও আ’লীগ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছেন জেলা আ’লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ। তিনি গতকাল শুক্রবার পেকুয়ায় গনসংযোগ করেন। এ সময় দুপুরে রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের পিতা সমাজ সেবক নুরুল হক সিকদারের নামাযে জানাজায় অংশ নিতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলাপাড়ায় যান। জানাজা শেষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সবুজ বাজারে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। এ সময় জেলা সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে তাকে মতামত ও রায় দিয়ে নির্বাচিত করার আহবান জানান। পরে ৪টার দিকে পেকুয়া বাজার আ’লীগ কার্যালয়ে কাউন্সিলার ও স্থানীয় নীতি নির্ধারকদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আ’লীগ প্রচার সম্পাদক আবুহেনা মোস্তফা কামাল, পৌর আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এড.ফখরুল ইসলাম গুন্দু, তার ভাই জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল। এছাড়া পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, সদরের সভাপতি এম.আযম খান, শিলখালীর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, টইটংয়ের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল হোসেন শামা, উজানটিয়ার সাধারন সম্পাদক শাহজামাল মেম্বার, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো.বারেক, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গনি, সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসাইন সুজন, সৈনিকলীগ সম্পাদক সাংবাদিক মো.ফারুখ প্রমুখ। এ সময় মাসেদুল হক রাশেদ বলেন আমি রাজনীতির মধ্যে বড় হয়েছি। কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের সাথে আমার পরিবারের নিবীড় সম্পর্ক। পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমার চেষ্টা। আশা করি আপনারা আমাকে মুল্যায়ন করবেন।
###################
রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যানের পিতা নুরুল হক সিকদারের ইন্তেকাল, শোক
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের পিতা সমাজ সেবক নুরুল হক সিকদার আর নেই। গতকাল ২৯জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্না…..রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১বছর। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলার পাড়া এলাকার মৃত.শেয়ার আলী সিকদারের ছেলে। গতকাল বিকেল ৩টায় রাজাখালী আমিলাপাড়া পারিবারিক কবরস্থানে নামাযে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়। জানাজায় আ’লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। মৃত্যুকালে তিনি ৪ছেলে, ৫মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জটিল ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠন, বিএনপি ও সহযোগি সংগঠন, পেকুয়ার চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দরা বিবৃতি প্রদান করেছেন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন নুরুল হক সিকদার একজন সমাজ সেবক ও জন দরদী লোক ছিলেন। শিক্ষা প্রসারে তার অবদান ছিল সর্বজন প্রসংশিত। আমরা তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
পাঠকের মতামত: