ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বিশাল সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :: সদ্য কারামুক্তি পাওয়া ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহাল হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম কে সংবর্ধিত করেছে পেকুয়ার জনগণ।

রবিবার (১৫ডিসেম্বর) পেকুয়ার সর্বস্থরের জনগণের ব্যানারে চৌমহুনী চত্ত্বরে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনায় উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম. শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত। এতে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। মহামান্য আদালত সবকিছু বিবেচনা করে আমাকে সাজা দিয়েছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনী মোকাবেলা করে জামিন প্রাপ্ত হয়েছি। এরই মাঝে ষড়যন্ত্রকারীদের পরোচনায় তড়িগড়িত উপজেলা পরিষদের আসন শূন্য ঘোষণা করলে তাও আইনগত মোকাবেলা করে আপনাদের দোয়ায় আর ভালবাসায় ফিরে পেয়েছি। এপর্যন্ত আপনারা আমাকে যেভাবে ভালবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন সেই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবোনা। আমার উপজেলা পরিষদের দরজা জনগণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। আর অনেকে মাননীয় এমপি মহোদয়ের ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু এমপি মহোদয় আমরাসহ সকল জনগণের কারো মনে করেন এমপি শুধু আমার এটি মনে করলে ভুল হবে।

আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, সদস্য মফিজুর রহমান, সদস্য কাজিউল ইনসান, সদস্য আবু তালেব, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য মাশুক আহমদ, সাইফুদ্দিন খালেদ, সদর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন।

এদিকে (রবিবার) ভোরে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিনি পেকুয়ায় আসবেন। কিন্তু বিজয় দিবস উপলক্ষে কোন ধরণের সংবর্ধনা আর শোডাউন হবেনা। কিন্তু পেকুয়ার সর্বস্থরের জনগণ সেই কথা মেনে নেয়নি। উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজম ও সৈনিকলীগের উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ ফারুক এর নেতৃত্বে সর্বস্থরের জনগণের নামের একটি সংবর্ধনা কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা ওসমাণ সরওয়ার বাপ্পি, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, তাঁতীলীগ নেতা মোঃ ইসমাঈল, যুবলীগ নেতা আনছার, মোঃ শাহাজাহান, মোঃ রহিম, ব্যবসায়ী নেতা মোঃ ফরিদুল আলম ও দিদারুল ইসলামকে অর্ন্তভুক্ত করে বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। দুপুর হতে হতে তিন শতাধিক মটর সাইকেল ও শতাধিক গাড়ি বহর চৌমহুনী চত্ত্বরে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়। পেকুয়ার সীমান্ত পহরচাঁদা থেকে চৌমহুনী চত্ত্বর পর্যন্ত ৫০টির মত তোরণ নির্মাণ করা হয়। হঠাৎ বৃষ্টির মত হাজার হাজার জনতা গাড়ি শোভাযাত্রা নিয়ে বরইতলি রাস্তার মাথা থেকে বরণ করে সভাস্থলে নিয়ে আসেন। এছাড়াও হাজার হাজার জনতা তাকে বরণ করতে চৌমহুনী চত্ত্বরে উপস্থিত হয়। একসময় সাধারণ জনগণের ভালবাসা দেখে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ চালাতে সকলের দোয়া করেছেন।

পাঠকের মতামত: