গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খানের প্রচেষ্টায় সদর ইউনিয়নের সৈকতপাড়া-চৈরভাঙ্গা খাল খনননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ইউএনওর নেতৃত্বে পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক দিদারুল করিম, সাধারান সম্পাদক বিডিআর জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক ছগির আহমদ ও সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ওই খাল পরিদদর্শন করেছেন। এদিকে ইউএনওর প্রচেষ্টায় ভরাট হওয়া খাল খনননের উদ্যোগ নেওয়ায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সৈকত পাড়া, বলির পাড়া, চৈরভাঙ্গা ও নন্দির পাড়া গ্রামে বিপুল পরিমান অনাবাদি কৃষি জমি চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরী নদীর পলি জমে সৈকত পাড়া-চৈরভাঙ্গা খালের প্রায় ৮৬ চেইন ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকটে পতিত হয়। প্রতি বছর বোরো মৌসুমে স্থানী কৃষকদের মিঠা পানির জন্য অবর্ণনীয় দূর্ভোগের মূখে পড়তে হতো। জানা গেছে, গত কিছু দিন পূর্বে পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়ার পিআইও তিন দিন যাবৎ হাঠকাপা পরিশ্রম করে ওই খাল খননের স্টিমিট নির্ধারন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন।
সৈকত পাড়া গ্রামের কৃষকরা জানান, সৈকত পাড়া-চৈরভাঙ্গা খালটি ভরাট হওয়ায় তারা জমিতে চাহিদামতো মিঠা পানি সেচ দিতে পারতোনা। এখন পেকুয়া ইউএনওর প্রচেষ্টায় খাল খনন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করায় তারা বেশ উপকৃত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান, জানান, স্থানীয় কৃষকদের কথা চিন্তা করে পলিজমে ভরাট হওয়া খাল খনননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পেকুয়ার কহলখালী খালসহ আরো বেশ কয়েকটি ভরাট হওয়া খাল তিনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে খনন কাজ চালাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত: