ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় যুবলীগ সম্পাদককে অপহরন চেষ্টা বিদ্রোহী প্রার্থীর !

indexপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদককে অপহরন চেষ্টা করেছে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী গনসংযোগে সম্পৃক্ত হয়েছেন একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আনছারুল ইসলাম টিপু। এদিকে সরকারী দল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈয়দনুর। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছৈয়দনুরের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা টিপুকে অপহরন চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন এলাকায় ভীতি ছড়াতে অন্তত কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে রাজাখালী ইউনিয়নে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বকশিয়াঘোনা ও দক্ষিন সুন্দরীপাড়ায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যেকোন মুর্হুতে বড় ধরনের রক্তপাতের আশংকা করেছে স্থানীয়রা। এদিকে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক গোলযোগ হওয়ার সম্ভবনা আশংকা করা হচ্ছে। ওইদিন সুন্দরীপাড়া এলাকায় বিকেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থককে লাঞ্চিত করেছেন যুবলীগ কর্মীরা। এর আগের দিন বৃহষ্পতিবার রাতে যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আনছারুল ইসলাম টিপু চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমগীর চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে ওই ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ায় যান। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈয়দনুর ও সমর্থকরা টিপুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভোট না করার জন্য হুমকি দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এমনকি রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈয়দনুর টিপুকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা থেকে নিবৃত করতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ ব্যাপারে যুবলীগ সম্পাদক আনছারুল ইসলাম টিপু জানিয়েছেন দল যাকে নমিনিশন দিয়েছে আমি যুবলীগের সম্পাদক হিসেবে তার পক্ষে ভোট করছি। সেটি বিদ্রোহী প্রার্থী ছৈয়দনুর মেনে নিতে পারছেনা। সে অনেকবার আমাকে প্রচারনা না চালাতে হুমকি দেন। আমি এসব তোয়াক্ক করিনি। সে আমাকে মুঠোফোনে ধমক দিয়ে বলেন নির্বাচনে জিততে না পারলে তাকে ২০লাখ টাকা দিতে হবে। এ ভাবে অহেতুক আমার সাথে বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়রা জানায় টিপু ছৈয়দ নুরের ভাতিজি জামাই। তারা দু’জনই জামাই-শ্বাশুর। বদু মেম্বারের মেয়ে বিয়ে করেছেন টিপু। কিন্তু নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দু’জনের বিরোধ তত তীব্রতর হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছৈয়দ নুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। নাউপেপ্র

পাঠকের মতামত: