নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নেজাম উদ্দিনকে প্রকাশ্যে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর। ধরে নিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করায় শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর তাকে (নেজাম) সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ার ডেরায় নিয়ে যায়। এই খবর জানার পর তাকে উদ্ধারে পুলিশ কঠোর হয়। একপর্যায়ে পুলিশের তৎপরতায় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ছৈয়দ নূর।
ইউপি সদস্য নেজামে স্ত্রী অভিযোগ করেন, আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূরের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী লোক অসৎ উদ্দেশ্যে তার স্বামীকে অপহরণ করে বদিউদ্দিন পাড়ায় চেয়ারম্যানের ডেরায় নিয়ে যায়। এ সময় তাকে শারিরিকভাবে ব্যাপক মারধর করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে নেজাম উদ্দিন আহত হন। তিনি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র।
আরেক ইউপি সদস্য জানান, এ ঘটনার পর পরই পেকুয়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ অপহৃত মেম্বার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করে।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী অপহরণের বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন মো. আলী ওয়াজেদ নামের একজন। তিনি দাবি করেন, অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। পরিষদের সচিবের সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মো. কামরুল আজম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সাথে কথা কাটাকাটি নিয়ে চেয়ারম্যান তার পরিষদের সদস্যকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এই খবর জানার পর চেয়ারম্যানকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিলে এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেয় নেজামকে। তবে নেজামকে পেটানোর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: