চকরিয়া অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আকতার।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার কার্যক্রম তদারকি করতে আকস্মিক ভাবে বিদ্যালয় পরির্দশনে যান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আকতার। তিনি সোমবার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিকাল বেলা খুঁজে পেলেন বেঁেচ নেই মা, মামলায় আসামি হয়ে বাবা জেলখানায় এক অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থীর সন্ধান।
ওই শিক্ষার্থীর পারিবারিক সম্পর্কে খোজ-খবর নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীর পড়া-লেখার দায়িত্ব নিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকতা আবু জাফর, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির নেতৃবৃন্দ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আকতারের এ মহানুভবতা দেখে আনন্দিত হলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা দাবী করেন, বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গুলশান আকতার উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অমূলপরিবর্তন এনেছেন, শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যথাসময়ে গমন ও প্রস্তান নিশ্চিত করছেণ তিনি। শিক্ষকদের যুক্তিসংগত সকল আর্থিক বিষয় যেমন, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসমুহ যথাসময় পাওয়া নিশ্চিতকরেছেন, যানিয়ে আগেকার সময় শিক্ষকরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতেন। এছাড়া শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখি কর্মযজ্ঞ প্রণয়ন করে দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষকরা জানান, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী যেন দেখে দেখে রিডিং ও স্পেলিং করতে পারে সেই জন্য বাধ্য-বাধকতা করা হয়েছে, যা শিক্ষকরাই নিশ্চিত করবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন নিশ্চিত করতে ১০ জন বিশিষ্ট একটি টীম করা হযেছে। শিক্ষার্থীদের স্পিকিং দক্ষতা বাড়াতে ১ম থেকে ২য় শ্রেনীপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজসম্পর্কে ৫টি বাক্য এবং ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনীশি ক্ষার্থীদের ১০টি বাক্য সঠিকভাবে বাংলা ও ইংরেজীতে বলা নিশ্চিত করছেণ তিনি। এছাড়া ঝড়েপড়া রোধ করতেও নানামুখি কর্মযজ্ঞ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের উপর।
শিক্ষকরা জানান, চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সকল সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তাবয়ন হলে শিক্ষাক্ষেত্রে চকরিয়া হবে মডেল। প্রাথমিক অমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান শিক্ষা অফিসার গুলশান আরা আকতার।
পাঠকের মতামত: