ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি টাকা! লিবিয়ায় মানবপাচার

পাপুলের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছে সিআইডি
নিজস্ব প্রতিবেদক ::  লিবিয়ায় মানবপাচারের ঘটনা তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এর মধ্যে ৩৬ পাচারকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একটি এজেন্সির একজন পিয়ন রয়েছেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে। পাচারের ঘটনায় তিন মাস্টারমাইন্ডকে শনাক্ত করা গেছে।

অন্যদিকে কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। এ সময় সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ, মাইনুল হাসান ও শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

লিবিয়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিআইডির প্রধান বলেন, লিবিয়ায় বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ১১ জন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে ৩৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে একজন পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তাঁর (পাপুলের) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অতিরিক্ত ভিসা নবায়ন ফি আদায়, কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাঁর বিরুদ্ধে ১১ জন বাংলাদেশিও সাক্ষী দিয়েছেন। এ ছাড়া পাপুলের বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে সিআইডি। আর কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মানবপাচার ও অর্থপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ জুন কুয়েতে পাপুলকে আটক করা হয়। কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ছাড়া পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এরই মধ্যে কুয়েতের তিনজন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিবিয়ার ঘটনায় তিন মাস্টারমাইন্ডকে শনাক্তের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তদন্তে কয়েকজন মাস্টারমাইন্ডের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কারা কারা মানবপাচাকারী হিসেবে দেশে কাজ করছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: