কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি :: কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে জারীকৃত ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক পলাতক আসামীকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পনের সুযোগ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করে স্থানীয় পরিষদ প্রাঙ্গনে লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার ২৭ মার্চ দুপুর ১.২০ মিনিটের দিকে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক লিটনুর রহমান জয় স্থানীয় ইউপি ভবনের সামনে দেওয়ালে সাটাতে দেখা গেছে। পরক্ষণেই স্থানীয়রা তালিকা গুলো এক নজর দেখতে ভীড় জমান।
সচরাচর গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদের নাম গোপন রেখে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের নিয়ম থাকলেও খুঁজে না পাওয়া, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়াসহ হরেক রকমের ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়ায় এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক ইউনিয়নে এ রকম তালিকা প্রকাশ পূর্বক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাটাই করা হবে বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এই উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করে সচেতন নাগরিক সমাজ জানান, এক সময় পুলিশ ওয়ারেন্ট গোপন রেখে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করত আসামীদের। এখন তালিকা প্রকাশ করে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নেওয়ার জন্য পরোয়ানাভুক্ত আসামীদের তালিকা প্রকাশ করেছে, এটা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
তালিকায় প্রথমাংশে বলা হয়েছে বিজ্ঞ আদালত থেকে নিম্ম বর্ণিত মামলা সমূহের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে। অনতিবিলম্বে স্ব স্ব আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন গ্রহন পুর্বক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বরাবর জামিন নামা জমা দেওয়ার অনুরোধ হয়েছে। অন্যথায় গ্রেপ্তার পুর্বক আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে উক্ত তালিকায় উল্লেখ করা হয়।
এ তালিকায় ৪নং ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১৮৬ জনের নাম উঠে এসেছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে তাদের নামে মামলা চলমান রয়েছে ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অনেক সময় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী আটক করলে নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সুপারিশ আসে। এমনকি তাদের গ্রেপ্তার করতে গেলে অনেকেই জানতে চাই কি মামলা! কখন হয়েছে, কে করছে? ইত্যাদি ইত্যাদি কথাবার্তা হয়ে থাকে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পলাতক আসামীদের তালিকা প্রকাশ করে জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: