চকরিয়ায় খামারিদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
পাম-ফোয়াব এর সহযোগিতায় মৎস্য স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলার চোয়ার ফাড়িতে শনিবার বিকালে নেদারল্যান্ডস এর সিনিয়র এক্সপার্টসদের উপস্থিতিতে স্থানীয় মৎস্য খামারিদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্লু ইকোনমি জোন, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী মৎস্য প্রকল্প প্রতিস্থাপনে আন্তর্জাতিক কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান (পাম্প)এর কনসালট্যান্ট নেদারল্যান্ডের মিস্টার উইনব্যাক জাক, ড. মনমোহন নাথ সরকার,ড. আব্দুল গাফফার মিয়া, ব্যারিষ্টার মহিবুল্লাহ।
সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোয়াব চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক খলিল উল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এরফান উদ্দিন চৌধুরী, খামার মালিক নাজেম উদ্দিন সওদাগর, নবী চৌধুরী, নুরুল আমিন নাগু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্তত ৫০জন মৎস্য খামারি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় রয়েছে অমিত সম্ভাবনার মৎস্য ভান্ডার। হাজার হাজার একর আয়তনের এই মৎস্য ভান্ডারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। তাঁর মাধ্যমে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে আমাদের মৎস্য ভান্ডার।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল আয়তনের মৎস্য ভান্ডার থাকলেও অভাব আছে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত চাষের। তাই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষীদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। মৎস্য চাষীসহ চকরিয়া উপজেলাবাসির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে আগামীতে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনার মাধ্যমে গুনগতমান সম্পন্ন মৎস্য চাষ নিশ্চিত করতে হবে। সেইজন্য মৎস্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এটি নিশ্চিত করা গেলে আগামীতে চকরিয়া উপজেলার মৎস্য ভান্ডার থেকে বছরে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
পাঠকের মতামত: