নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ::: উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছরের ন্যায় চলতি বছরেও গত ১ জুন থেকে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত এ তিন মাসের জন্য পাহাড়ে বাঁশ কাটা ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
কিন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা যেন মানাই হচ্ছে না নাইক্ষ্যংছড়িতে। উপজেলার দুটি রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন ১৭ মৌজার সর্বত্র যেন ইচ্ছেমত বাঁশ কেটে অন্য স্থানে পাচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বাইশারী, ঘুমধুম ও দৌছড়ি বাঁকখালী মৌজায় কাঠুরিয়ারা চারা বাঁশও ধ্বংস করে ফেলছেন প্রকাশ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুর রহিম, আবু ইউছুপ ও হাবিবুর রহমান বলেন, সাপ্তাহিক হাটের দিনে বাঁকখালী, রেজু আমতলী খাল, ঈদগড় খাল, খুটাখালী ছড়া ও গর্জনিয়া খাল দিয়ে বাঁশ কেটে অন্য উপজেলায় পাচার করছে বনদস্যুরা।
তাদের দাবি, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে চলছে এ কাজ। তবে অভিযোগ রয়েছে, এসব ভুয়া কাগজপত্র দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা । বাঁশ ব্যবসায়ীরা একাধিকবার চুক্তিমত লাখ টাকার দাখিলা কেটে রাখার কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকতা হাফিজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি। তবে বান্দরবান জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া বলেন, নিষিদ্ধ মৌসুমে বাঁশের নতুন পরিবহন ছাড়পত্র দিতে বন বিভাগ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: