চকরিয়া সদর প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় চলছে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজার তৃতীয় দিন রবিবার (২২ অক্টোবর) পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী তথা কুমারী পূজা।
চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান, এ বছর উপজেলায় ৪৩টি মন্দিরে প্রতিমা মণ্ডপ করে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। এছাড়া ঘট পূজা হচ্ছে অর্ধশত।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা পালনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ, আনসার ছাড়াও মন্দিরের গঠিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। মোবাইল ডিউটিতে রাখা হয়েছে পুলিশের একাধিক টিম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ইভটিজিংসহ যেকোন অপরাধ রোধকল্পে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
মূলত, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে আয়োজিত দুর্গাপূজা চলাকালে চকরিয়া ও পেকুয়ায় ৬টি মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটায় এবার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন কুমারী পূজার সময় বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, কাউন্সিলর হানিফ ইসলাম, বেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রদীপ দাশ, পূজা কমিটির নেতা সুজিত দাশ, টিটু বসাক, কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাক্তার অসীম কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু কান্তি দাশ প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: