ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

নবজাতক বিক্রি, ফিরে পেতে ফের থানায় চুরির অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়ায় এক নবজাতক শিশুর ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান মা জান্নাত আরা। তাই আর্থিক সংকটের কারণে পাশের এক গৃহিনীর সহায়তায় শিশুকে নগদ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে খুটাখালীর এক ব্যক্তির কাছে তুলে দেয় মা। এ পরিস্থিতিতে মা সন্তানকে ফিরে পেতে থানার লিখিত অভিযোগ করেন যে, তাঁর সন্তান চুরি হয়ে গেছে। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে জানতে পারেন, সদ্যজাত শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে। বিনিময়ে নগদ ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
এরপর পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডুলাহাজারার ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিনের মাধ্যমে মা জান্নাত আরার কাছে হস্তাস্তর করে।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ এপ্রিল রাত দশটার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের কাটাখালী গ্রামে। তবে এ ঘটনা বাইরে প্রকাশ হয় গত ৩০ এপ্রিল রাতে চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর।

পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে গত ২৬ এপ্রিল রাত দশটার দিকে মালুমঘাট কাটাখালী গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম (৩৫) এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। রাতে স্থানীয় শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী মিনু আরার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকায় খুটাখালীর এক ব্যক্তির কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়।

ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘শিশুটিকে চুরি করা হয়নি। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্যজাত সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল জান্নাত আরা। কারণ জান্নাত আরার পরিবারে অর্থাভাব রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ওই শিশু বিক্রির বিপরীতে মধ্যস্থতাকারী মিনু আরা খুটাখালীর এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে ভুয়া খবর জানতে পারেন জান্নাত আরা। তাই শিশুটি চুরি হয়েছে মর্মে থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের তদন্তে আসল সত্যটি বেরিয়ে আসে এবং শিশুটি উদ্ধার করে আমার মাধ্যমে মা জান্নাত আরার কাছে হস্তাস্তর করা হয়।

চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ডুলাহাজারায় সদ্যজাত এক শিশু চুরি হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় মিনু আরার মাধ্যমে ওই শিশুকে অর্থাভাবে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি জানা যায়। এরপর শিশুটি উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

পাঠকের মতামত: