নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক মাস ১৬ দিন আগে চার বছরের এক শিশুকে ফুসলিয়ে শৌচাগারে নিয়ে ধর্ষণ করে মোহাম্মদ মামুন (১৮) নামের এক যুবক। সেই ধর্ষণের ঘটনা বাড়িতে গিয়ে বলতে না পারলেও ধর্ষক যুবককে গত রবিবার সকাল এগারটার দিকে দেখতে পেয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। কেন কান্না করতেছে, জানতে চাইলে শিশুটি মা–সহ উপস্থিত লোকজনকে আগের ঘটনা খুলে বলে। এই অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করলে সে আগের ঘটনা স্বীকার করে। পরে ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়– গত ২৮ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় মাঠের শৌচাগারে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে মামুন। সেই যুবকের বাড়ি পেকুয়ার শীলখালী ইউনিয়নের তারাবুনিয়া পাড়ায়। সে ওই গ্রামের আলী আহমদের ছেলে এবং পেশায় ইজিবাইক চালক।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। ধর্ষণের ঘটনাও স্বীকার করেছে মামুন। তাই মায়ের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।’
ওসি বলেন, (গতকাল) সোমবার ধর্ষক মামুনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। এ সময় শিশুটির জবানবন্দি নেওয়া হয় ২২ ধারায়। অপরদিকে ধর্ষক মামুনও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে রবিবারই শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ওসিসিতে নিয়ে।
পাঠকের মতামত: