ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশগড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক তৈরীতে লেখাপড়ার সঙ্গে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে -সুরাজপুরে চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর পাবলিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবমুখ আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে স্কুল প্রাঙ্গনে কমিটির সভাপতি ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পরিমল বড়–য়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাদল শর্মা, সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কাজল, কাকারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজেম উদ্দিন, সাবেক কৃতি ফুটবলার নুরুল আবছার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় কমিটির সকল সদস্য, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য মেধানির্ভর শিক্ষার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করেছে। তাঁর সদিচ্ছার কারনে আজ শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেইলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে প্রতিটি অঞ্চলে শিক্ষার মান্নোয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের দেশগড়ার কারিগর নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে। সেইজন্য চকরিয়া উপজেলার শিক্ষক সমাজের সহযোগিতা চাই। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। আশাকরি শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ভাবে বিপদগামী না হয় সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। #

পাঠকের মতামত: