নিউজ ডেস্ক ::
এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে নতুন সরকার গড়তে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা; এই যাত্রায় তিনি রাখেননি দল ও জোটের বড় বড় নেতাদের।আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিমের মতো আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা যেমন বাদ পড়ছেন; তেমনি স্থান পাননি জোট শরিক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মতো নেতারাও।একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হওয়ার পর সোমবার শপথ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নতুন সরকার। তার আগের দিন রোববার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী বাদে ৪৬ জনের মন্ত্রিসভায় ৩১ জনই নতুন মুখ। বাদ পড়ছেন আগের মন্ত্রিসভার ৩৪ জন। এছাড়া পাঁচজন প্রতি থেকে পদোন্নতি পেয়ে হচ্ছেন পূর্ণমন্ত্রী এবং তিনজন একই দায়িত্বে থেকে যাচ্ছেন। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নূরসহ প্রায় সব বড় বড় নেতাই বাদ পড়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমু ও তোফায়েল ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় থাকলেও ২০০৯ সালের সরকার গঠনের সময় বাদ পড়েছিলেন। পরে অবশ্য তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৪ সালের সরকারেও তারা শিল্প ও বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পেয়েছিলেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া ও নাসিমও ১৯৯৬ সালের সরকারে ছিলেন; ২০০৯ সালের সরকারে নাসিম না থাকলেও ২০১৪ সালের সরকারে আবার ফিরে এসেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে। মতিয়া তিনটি সরকারেই ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এবার দুজনের একজনও নেই।সভাপতিম-লীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ টানা দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এবার বাদ পড়লেন। বিদায়ী সরকারে পূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও বাদ পড়েছেন এবার।
জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলটির নেতা পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের স্থান না পাওয়া অনুমিতই ছিল। দলটির অন্য দুই প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ ও মুজিবুল হক চুন্নুর বাদ পড়াও একই কারণে। আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটসঙ্গী জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু দুই মেয়াদে এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এক মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এবার বাদ পড়েছেন। ২০০৮ সালের সরকারে সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী করার পর ইনু ও মেননকেও মন্ত্রী করেছিলেন শেখ হাসিনা, এবার আওয়ামী লীগ বাদে অন্য কোনো দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখছেন না তিনি।ফলে মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি ১৯৯৬ সালের পর শেখ হাসিনার ২০১৪ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগেই অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনেও অংশ নেননি। নতুন মন্ত্রিসভায় তার নামও নেই।আওয়ামী লীগের বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন দলে শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত শাজাহান খান ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। শাজাহান খান নৌমন্ত্রী ও মায়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। দুই মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এবার বাদ পড়েছেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের শ্বশুর খোন্দকার মোশাররফ হোসেন। বাদ পড়েছেন আসাদুজ্জামান নূরও।
এছাড়াও এবার বাদ পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী শামসুজ্জামান শরীফ ডিলু, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্র, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে থাকছেন কেবল আ হ ম মুস্তফা কামাল, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আ ক ম মোজাম্মেল হক ও আনিসুল হক। পরিকল্পনা থেকে পদোন্নতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মুস্তফা কামাল। বাকি চারজন তাদের আগের দপ্তরেই থাকছেন।
ভোটের আগে পদত্যাগ করা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান তার পুরনো দপ্তর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এবং মোস্তাফা জব্বারও তার পুরনো দপ্তর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিতে ফিরছেন। এক মেয়াদ বিরতির পর মন্ত্রিসভায় ফিরছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি। রাজ্জাক পাচ্ছেন কৃষি এবং দীপু মনি পাচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিদায়ী সরকারের নয় প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েছেন। তারা হলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মতিউর রহমান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো নজরুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এই নয়জনের মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে নেওয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ রয়েছেন।
প্রকাশ:
২০১৯-০১-০৭ ০৯:৪৭:৫৭
আপডেট:২০১৯-০১-০৭ ০৯:৪৭:৫৭
- ঈদগাঁও’র নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা
- চকরিয়ায় দেড়শ শিশুকে ফ্রি খতনা সেবা দিয়েছে কৈয়ারবিল ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ
- চকরিয়ায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ,
- রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটর সাইকেল আরোহী দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়ায় কৃষি বিভাগের বিনামূল্যে সার ও বীজ পেলেন ১৫২০ জন প্রান্তিক কৃষক
- কুতুবদিয়ায় গ্যাস ও এলএনজি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নৌ-মানববন্ধন
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে চকরিয়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিওপি পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক!
- সাগরে জলদস্যুদের আক্রমণে নিহত কুতুবদিয়ার মাঝি মোকাররম হোসেন
- চকরিয়ায় ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানেজার এসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ
- চকরিয়ায় ঠেকানো যাচ্ছে না বদরখালীর প্যারাবন নিধনযজ্ঞ
- মেদাকচ্ছপিয়ায় হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতা মূলক সভা সম্পন্ন
- চকরিয়ায় হত্যা ও সাজসহ বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভুক্ত ৬ আসামী গ্রেফতার
- চকরিয়া পৌরএলাকার তরছপাড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটর সাইকেল আরোহী দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়ায় অবৈধ ৩টি স মিল সিলগালা: বাজারে ৪৫কেজি পলিথিন জব্দ
- চকরিয়ায় ঠেকানো যাচ্ছে না বদরখালীর প্যারাবন নিধনযজ্ঞ
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে মেশিন ও পাইপ জব্দ
- কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ আর ক্ষমতায় আসবেনা -জমায়াত আমীর শাহাজাহান চৌধুরী
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়ায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ,
- নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘিলাতলীতে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু!
পাঠকের মতামত: