ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ১৫৯ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করেছে বিজিবি

নিউজ ডেস্ক ::
টেকনাফে প্রায় ১৫৯ কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।শুক্রবার (০৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিজিবি’র আঞ্চলিক কমান্ডার এসএম রকিব উল্লাহ ও জেলার সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজের উপস্থিতিতে টেকনাফ-২ বিজিবি সদর দফতরে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসের তালিকায় ছিল ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ, বিয়ারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিয়ানমারের সিগারেট।
যার মধ্যে ৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৭ পিস ইয়াবা, এক হাজার ৪৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৩ হাজার ৩০০ কেজি গাঁজা, ৬৯৫ লিটার চোলাই মদ, তিন হাজার ৯৯০ ক্যান আন্দামান বিয়ার, তিন হাজার ৩৭৩ ক্যান ডায়াব্লু বিয়ার , তিন হাজার ৫১৮ ক্যান সিংগা বিয়ার, ৫৪৫ ক্যান চ্যাং বিয়ার, ৩৬০ ক্যান চেঞ্জ ক্লাসিক বিয়ার, ৭২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ২০৭ বোতল গ্রান্ড রয়েল হুইস্কি, ২২ বোতল গ্রান্ড হুইস্কি, ৩৯ বোতল গারদা মদ, পাঁচ বোতল ঈগল হুইস্কি, চার বোতল গোল্ড মদ, তিন বোতল ডাবল ব্লাক, ১২ বোতল রয়েল ড্রাইগ্রান, তিন বোতল মিয়ানমার ড্রাইগ্রান, ৩০ বোতল মেরিন হুইস্কি, নয় বোতল ড্রাগন রাম, ১২ বোতল জামালিকা, দুই বোতল মিয়ানমার ওল্ডসহ ২৭ হাজার ৩২৫ প্যাকেট মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকার সিগারেট ধবংস করা হয়।
এর আগে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজারের আঞ্চলিক কমান্ডার এসএম রকিব উল্লাহ বলেন, মাদক বিক্রেতাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যত বড়ই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাদকদ্রব্য পাচার এবং সেবনের কুফল সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করার পাশাপাশি তিনি মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীসহ সকল স্তরের নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান, টেকনাফ-২ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আছাদুজামান চৌধুরী, কক্সবাজারের সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজ, টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব চাকমা ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ বড়ুয়াসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

পাঠকের মতামত: