হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ::
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের নবঘোষিত কমিটি নিয়ে দু‘পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকার পর এবার বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, রাজাকার পুত্র ও ইয়াবা চোরাকারবারীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি অবিলম্বে বাতিল করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর আগে ২৬ মার্চ বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে প্রধান সড়কে টায়ার পুড়ে বিক্ষোভ করেছিল।
২৭ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার হ্নীলা হোটেল সিকদার প্লাজা হলরুমে বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক শাকের আহমদ সাগর। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল সরওয়ার, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রেজাউল করিম, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলাম কালাম, যুবলীগ নেতা বেলাল ইমরান জুয়েল, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী, সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মুফিজুর রহমান কাজল, জাফর আলম গুরা, যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল, মোঃ জামাল ওয়াজেদ, দেলোয়ার হোছন শাহীন, জয়নাল আবেদীন কালাবদা, আমিনুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, সিরাজুল ইসলাম কাজল, জালাল উদ্দিন, ইকবাল মানিক, ফায়সাল, জসিম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, আবু বক্কর ছিদ্দিক, আব্দুল আজিজ প্রমুখসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত কর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ জানান, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ কর্তৃক গত ২৫ মার্চ রাতে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম পাক হানাদারদের গণহত্যার দিনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার কমিটি রাজাকার পুত্র ও ইয়াবা গডফাদারদের সভাপতি-সম্পাদক ঘোষণা করেন। এই কমিটি স্বাধীনতা প্রেমী যুবলীগ হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছেনা। ঘোষিত হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার কমিটিতে সভাপতি নুরুল আলম নুরু একজন চিহ্নিত রাজাকার পুত্র। তার পিতা আবুল হাশেম প্রকাশ আব্দুল হাশি রাজাকার প্রাণে রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগে যোগদান করে। উক্ত নুরুল আলম নুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা গডফাদার। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম নয়ন প্রকাশ আনোয়ার হোসেন বিগত বিএনপি সরকারের আমলে হ্নীলা ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি, ২০১৭ সালের প্রকাশিত ১১৪ জনের মানব পাচারকারী গডফাদারের তালিকাভূক্ত এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলার আসামী। বর্তমানে তাদের ইতিহাস লোকমুখে প্রচলিত আছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামত উপেক্ষা, সাংগঠনিক স্বার্থ বিবেচনা না করেই গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে মূল দল ও অঙ্গ-সংগঠনে রাজাকার পুত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী এবং চোরাকারবারীদের দলীয় পদে পদায়ন না করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগে অযোগ্য কমিটি দিয়ে সাধারণ নেতা-কর্মীদের ক্ষুদ্ধ করে তুলেছেন। তাই আমরা বিক্ষুদ্ধ ত্যাগী নেতা-কর্মীরা যুবলীগের গঠনতান্ত্রিকভাবে হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ দায়ী থাকবেন।
পাঠকের মতামত: