নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: কক্সবাজারে রাত ৮ টার পর দোকান, শপিংমল খোলা রাখলে মোবাইল কোর্ট, বিচ্ছিন্ন করা হবে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রয়োজনে নেয়া হবে আরো কঠোর ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (১ জুন) কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সভায় বলা হয়, ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান, শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। যথাযথ প্রতিপালিত হচ্ছে না সরকারের নির্দেশনা। করোনাকালে এটি খুবই উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায় রাত ৮ টার পরে যারা দোকানপাট খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল।
তিনি বলেন, গত বছর করোনাকালে লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা অপূরণীয় ক্ষতির শিকার। এ বছর সেটি বিবেচনায় রেখে দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সরকারের জারিকৃত নির্দেশনা মানতে ব্যবসায়ীদের বলা আছে। তবু যারা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেব।
আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, শপিংমল ও দোকান মালিকরা যেন নির্ধারিত সময় মেনে দোকান বন্ধ রাখে, দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আবু সুফিয়ানসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় নিজেদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফরহাদ, চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, বৃহত্তর বার্মিজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মুছা কলিম উল্লাহ, কালুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন, সমবায় মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, কৃষি অফিস রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল, ফিরোজা সভাপতি আবদুল মান্নান, আলমাছ শপিং সভাপতি আতাউল্লাহ।
পাঠকের মতামত: