নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: গত ৭ জানুয়ারী, রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ১৬৫০৯৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৬৩১৮৩১ টি ভোট কাস্ট হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে জেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে মোট ভোটারের ৩৮’২৭% ভাগ। ৪টি সংসদীয় আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের মধ্যে ৬২০৬০৯ টি বৈধ ভোট এবং ১১২২২ টি বাতিল ভোট। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে ।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মোট ৪৮৬২৫২ জন ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৪০৬১৩ ভোট। যা এ আসনের মোট ভোটারের ২৮’৯২% ভাগ। এ আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের মধ্যে ১৩৭২৭৬ টি বৈধ ভোট এবং ৩৩৩৭ টি বাতিল ভোট।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মোট ৩৪৮১২৭ জন ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৩৫৫৬৮ ভোট। যা এ আসনের মোট ভোটারের ৩৮’৯৪% ভাগ। এ আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের মধ্যে ১৩৪০২৬ টি বৈধ ভোট এবং ১৫৪২ টি বাতিল ভোট।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে মোট ৪৮৯৬১০ জন ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৯৫৫০৭ ভোট। যা এ আসনের মোট ভোটারের ৩৯’৯৩% ভাগ। এ আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের মধ্যে ১৯২১১৭ টি বৈধ ভোট এবং ৩৩৯০ টি বাতিল ভোট।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে মোট ৩২৬৯৭১ জন ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৬০১৪৩ ভোট। যা এ আসনের মোট ভোটারের ৪৮’৯৮% ভাগ। এ আসনে কাস্ট হওয়া ভোটের মধ্যে ১৫৭১৯০ টি বৈধ ভোট এবং ২৯৫৩ টি বাতিল ভোট।
কক্সবাজারের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী মোট ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধান মতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বহাল রাখতে হলে মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগ অর্থাৎ ১২’৫০% ভাগ ভোট পেতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা জামানতের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন-জাতীয় পার্টি হোসনে আরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৯১ ভোট, ওয়ার্কাস পার্টির হাজী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৪ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আরমান কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮০ ভোট।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন-ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস : প্রতীক-মিনার (প্রাপ্ত ভোট- ২৭৬)। ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান : প্রতীক-চেয়ার (প্রাপ্ত ভোট- ২২৪)। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মোহাম্মদ খাইরুল আমিন : প্রতীক-একতারা (প্রাপ্ত ভোট-১৬০)। এনপিপি’র মাহাবুবুল আলম : প্রতীক-আম (প্রাপ্ত ভোট-১৪৮)।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনে
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন-ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ : প্রতীক-ঈগল (প্রাপ্ত ভোট-২১৯৪৬)। জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ তারেক : প্রতীক-লাঙ্গল (প্রাপ্ত ভোট-১৩৭১)। কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন : প্রতীক-হাতঘড়ি (প্রাপ্ত ভোট-৯৮৮)। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান ভুলু : প্রতীক-কুঁড়েঘর (প্রাপ্ত ভোট-৫০৫) এবং বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ ইব্রাহীম : প্রতীক-টেলিভিশন (প্রাপ্ত ভোট-২৬৮)।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন-জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো : প্রতীক-লাঙ্গল (প্রাপ্ত ভোট-১৭৫৮)। ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী : প্রতীক-মিনার (প্রাপ্ত ভোট-৮২৫)। এনপিপি’র ফরিদ আলম : প্রতীক-আম (প্রাপ্ত ভোট-৩২৭)। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল : প্রতীক-ডাব (প্রাপ্ত ভোট-২৪৭) এবং তৃনমূল বিএনপি’র মুজিবুল হক মুজিব : প্রতীক-সোনালী আঁশ (প্রাপ্ত ভোট-২৪৬)।
পাঠকের মতামত: